শামীমুল ইসলাম শামীম, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি, ২৯আগষ্ট ২০২০ঃ “বিট পুলিশিং বাড়ি বাড়ি নিরাপত্তা সমাজ গড়ি” এ শ্লোগান নিয়ে ঝিনাইদহে জেলা পুলিশের আয়োজনে বিট পুলিশিং প্রশিক্ষন কর্মশালা-২০২০ অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় পুলিশ লাইনস এ বিট পুলিশিং প্রশিক্ষন কর্মশালা উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান পিপিএম।

উদ্বোধন শেষে সারাদেশে করোনায় পুলিশ সদস্যসহ যারা মারা গেছে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।এসময় বিট পুলিশিং প্রশিক্ষন কর্মশালা সভায় উপস্থিত ছিলেন, শৈলকুপা-হরিণাকুন্ডু সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম,কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাইমিনুল ইসলাম,ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান,ডিবির ইন্সপেক্টর আনোয়ার হোসেন,হরিণাকুন্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহমান মোল্লা,কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাবুবুর রহমানসহ সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বিট পুলিশিং প্রশিক্ষন কর্মশালা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান পিপিএম বলেন, পুলিশি সেবাকে আধুনিক ও উন্নত বাংলাদেশের সাথে তাল মিলিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে উন্নীত করার লক্ষ্যে বর্তমান ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ জেলা পর্যায়ে পুলিশের কার্যক্রম চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশ পুলিশের বেশ কিছু ইউনিট এর মাধ্যমে কাংক্ষিত সাফল্য পেয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় ঝিনাইদহ জেলাসহ বাংলাদেশের সমস্ত জেলায় বিট পুলিশিং বাস্তবায়িত হলে জনগণ ব্যাপক ভাবে উপকৃত হবে এবং পুলিশ জনগণের আস্থা ও ভরসাস্থলে পরিণত হবে।থানার সঙ্গে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের নিবিড় যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে বিট পুলিশিং কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। বর্তমান আইজিপি মহোদয়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও নির্দেশনায় ইতোমধ্যে বিট পুলিশিং কার্যক্রম সংক্রান্ত গাইডলাইন তথ্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর ২০২০ প্রণীত হয়েছে। পুলিশের সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া পুলিশ রেগুলেশন অফ বেঙ্গল, ১৯৪৩ এ বিট পুলিশিং এর কথা উল্লেখ আছে।

ইতোমধ্যে বিট পুলিশিং কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়েছেন সচেতন মহল পুলিশ সুপার আরো বলেন, ঝিনাইদহ জেলার ৬টি পৌরসভার ৬৭টি ইউনিয়নে মোট ৮৫টি বিট পুলিশিং কার্যালয় খোলা হবে। পুলিশী সেবা মানুষের দোড় গোড়ায় পৌঁছে দেবার লক্ষ্যে বিট পুলিশিং কার্যক্রম চালু করা হচ্ছে। প্রতিটি বিট পুলিশিং অফিসে একজন এস আই, একজন এএসআই ও ২জন করে কনস্টেবল থাকবে। তারা এলাকার অপরাধ দমন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করবে।

বিট এলাকায় সংঘটিত অপরাধ বিশেষ করে মাদক পাচারকারি,মাদক সেবনকারি,খুন,ডাকাতি,নারী নির্যাতন,ভূমিদস্যু,চোর,চিহ্নিত সন্ত্রাসী,চাঁদাবাজ,মানবপাচারকারি অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনে বিট এলাকার অপরাধীদের তালিকা তৈরিসহ নজরদারি করা এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবে। এতে করে মানুষ দ্রুত পুলিশী সেবা পাবে বলে তিনি জানান।