প্রধান মেনু

ঝিনাইদহে গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী’র বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত শুরু

শামীমুল ইসলাম শামীম, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে সাঈখের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তে সচিবের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি তদন্ত শুরু করেছেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে ঝিনাইদহ শহরের চাকলাপাড়াস্থ সার্কিট হাউসে অভিযোগকারীদের বক্তব্য লিখিত আকারে গ্রহন করেন তদন্ত দল। গৃহায়ন ও গণপুর্ত মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন-২) মোঃ ইয়াকুব আলী পাটওয়ারী এই তিন সদস্য তদন্ত দলের নেতৃত্ব দেন।

সার্কিট হাউসে তদন্তকালে উপ-সচিব এস এম নজরুল ইসলাম, গণপুর্তের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ড. মাইনুল ইসলাম, ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কমিশনার (এনডিসি) আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত ও গৃহায়ন ও গণপুর্ত মন্ত্রনালয়ের সিস্টেম এনালিস্ট মিহির কান্তি উপস্থিত ছিলেন। তদন্তকালে ঝিনাইদহ গণপূর্ত বিভাগের বেশ কয়েকজন ঠিকাদার নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে সাঈখের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহন, জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা উত্তোলনসহ নানাবিধ অভিযোগ উত্থাপন করেন ঠিকাদাররা। গৃহায়ন ও গণপুর্ত মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন-২) মোঃ ইয়াকুব আলী পাটওয়ারী দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরার জন্য ঝিনাইদহের সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বিলের টাকা উত্তোলন করে কাজ করবেন না তা হতে পারে না।

তিনি বলেন, পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে বিধায় পরে তড়িঘড়ি করে কাজ শুরু করা হয়। তিনি বলেন, সরকারের দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে অংশ নিয়ে ঝিনাইদহের সংবাদিকরা পত্রিকায় খবর প্রকাশ করে সহযোগি হিসেবে কাজ করেছেন। ইমরান আহম্মেদ রয়েল নামে এক ঠিকাদার অভিযোগ করেন গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে সাঈখ তার কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছেন। তিনি দাবী করে লিজা এন্টারপ্রাইজের কাজ ও টেন্ডার সিকিউরিটি বাতিল করে ঘুষ নিয়ে ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকার বিল দেওয়া হয়, যার চেক নং গ-০১৯৬০৩। ঠিকাদার সাইদুর রহমানের প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ অভিযোগ করেন, তার নামে অন্য লোক কাজ করে টাকা তুলে নিয়েছেন। ঝিনাইদহের ঠিকাদার জাহাঙ্গীর ও লিটন এ সময় যুক্তি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।

উল্লেখ্য ঝিনাইদহ গনপুর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে শাঈখ গত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ই-জিপি টেন্ডারের মাধ্যমে দরপত্র আহবান করেন। কিন্তু বিধি ভঙ্গ করে মেন্যুয়ালি নেটিফিকেশন অফ এওয়ার্ড (নোয়া) দেওয়া হয়। যা পিপি’র বিধি বহির্ভুত। ই-জিপি টেন্ডার আহবান না করার কারণে একজন ঠিকাদার অর্ধশত কাজ পেয়েছেন। টেন্ডারের রেট গোপনে কয়েকজন ঠিকাদারকে জানিয়ে দেওয়ার কারণে এক ব্যক্তি একাধিক কাজ করছেন।