প্রধান মেনু

ঝিনাইদহে একদিনে ১৫৯ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে

শামীমুল ইসলাম শামীম, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ জেলার ছয়টি উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নতুন করে বিদেশ ফেরতসহ ১৫৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তাদের নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বাড়িতে অবস্থান করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। রোববার বিভিন্ন উপজেলা পরিদর্শন শেষে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন সেলিনা বেগম। হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা ১৫৯ জনের মধ্যে ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় একজন, মহেশপুরে ১৫০ জন ও কোটচাঁদপুর উপজেলাতে ৮ জন রয়েছেন। প্রতিদিন স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের খোঁজখবর নিচ্ছেন। ক্রমেই করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক আরও যেন বেড়েই চলছে।

ঝিনাইদহ জেলা জুড়ে আগামী ১৭ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটির ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এর আগে সদর উপজেলাতে পাঁচজন, কালীগঞ্জে একই পরিবারের ১২ জন এবং মহেশপুর উপজেলাতে পাঁচজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। ইতালি, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারত মিলিয়ে ৩৬ জন বিদেশ ফেরতসহ মোট ১৮১ জনকে এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হলো। এরই মধ্যে জেলার সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে করোনা আতঙ্ক বিরাজ করছে।

তবে স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা না মানা এবং তাদের সঠিক তদারকির অভাবে এ শঙ্কা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতোমধ্যে বিদেশ ফেরত ব্যক্তিরা বিভিন্ন চিকিৎসকের চেম্বারেও গেছেন। ইতালি ফেরত এক নারী বলেন, ইতালি ও দুবাই বিমানবন্দরে আমাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেশে পাঠিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের বিমান বন্দরে তেমন কোনো পরীক্ষা না করে শুধু একটা কাগজে সই নিয়ে বলেছে জ্বর বা অন্য কিছু হলে আমাদের ফোন করে জানাবেন, এতেই সব শেষ।

কিন্তু তারাতো কোনো নির্দেশনা দিলো না। তাহলে স্বাস্থ্য বিভাগ কেন আমাদের নিয়ে টালবাহানা করছে? এদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই; এরা কী করে আমাদের করোনা শনাক্ত করবে? ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন সেলিনা বেগম বলেন, বিদেশ ফেরত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার স্বার্থে এ পর্যন্ত ১৮১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি।

যেহেতু শরীরে জীবাণু ১৪ দিনের ভেতরে প্রকাশ পায় তাই ১৪ দিনের আগে তাদের বিষয়ে কিছুই বলা যাচ্ছে না। অপরদিকে ঝিনাইদহ শহরের কয়েক সচেতন নাগরিক জানিয়েছেন হোম কোয়ারেন্টাইনের বিষয়টি হাস্যকর। কারণ যেখানে হাসপাতালে ১৪দিন পর্যাবেক্ষণে রাখা যাচ্ছে না সেখানে বাড়িতে তারা চুপচাপ হোম কোয়ারেন্টাইন করবে? প্রবাসী সকলকেই একটি নির্দিষ্ট জায়গায় কোয়ারেন্টাইন করা উচিত বলে মনে করছেন তারা।