প্রধান মেনু

ঝিনাইদহের উপজেলা চেয়ারম্যান নিয়ম অম্যান্য করে বদলি করছেন নিদ্দির্ষ্ট সময়ে যোগদান করতে পারেনি

শামীমুল ইসলাম শামীম,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ০১এপ্রিল ২০১৮ঃ   ঝিনাইদহ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটির সভাপতি আব্দুল আলীম নিয়মনীতি অম্যান্য করে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি বানিজ্য করে যাচ্ছেন। যেহেতু তিনি উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি তাই তিনি এমন কাজ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ইচ্ছামত কাগজপত্র তৈরী ও ব্যক্তিগত পচ্ছন্দের লোকজনের বদলিতে বেশী ইচ্ছুক। বদলির আবেদনকৃত শিক্ষকরা ৩১ মার্চের মধ্যে স্কুলে যোগদান করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন।

এপ্রিল মাসে গিয়ে ব্যাক ডেটে বদলি  করলে শিক্ষকরা কোন অভিযোগ করতে পারবেনা কোন অধিদপ্তরে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বদলি নীতি মালায় বলা হয়েছে উপজেলার মধ্যে কোন প্রাথমিক স্কুলে পদ শুন্য হয় সেক্ষেত্রে শুন্য পদের বিপরীতে উপজেলায় নোটিশ টাঙ্গিয়ে দিতে হবে। ৭ কর্মদিবসের মধ্যে দরখাস্ত আহ্বান করতে হবে। আবেদনের ভিত্তিতে উপজেলা শিক্ষা কমিটি বাছাই করে সিনিয়ারিটির ভিত্তিতে পদায়ন করবে। কিন্তু এসব নিয়মনীতি তোয়াক্কা করেছেন না উপজেলা চেয়ারম্যান ও শিক্ষা কমিটির সভাপতি আব্দুল আলীম।

মার্চের শেষদিকে মিটিং করে নিজের ইচ্ছামত বদলি করছেন। প্রাথমিকের শিক্ষকেরা বলেন আমরা দীর্ঘদিন ধরে দুরবতী স্থানে চাকুরী করছি। বাড়ীর একটু আশেপাশের স্কুলে আশার জন্য চেষ্টা করে আসছি। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বদলির আদেশ অমান্য করে দরখাস্ত আহ্বান না করে বদলি করছেন। কোন সময় ফাঁকা হচ্ছে তা জানতে পারছিনা। যখন তখন বদলি হওয়া যায়না। বৎসরে সাধারনত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত বদলির সময় থাকে। কিন্তু প্রতি বৎসর শেষ সময়ে এসে তরিঘরি করে উপজেলা শিক্ষা কমিটির মিটিং ডেকে তা পাশ করে শেষ দিনে বদলির কাগজ ধরিয়ে দয়ে। এতে করে আমাদের তখন কিছু বলার থাকে না। এবার ৩১ মার্চের মধ্যে একজন শিক্ষকও কোন স্কুলে যোগদান করতে পািেন বলে তারা জানান।

এপ্রিল মাসে গিয়ে ব্যাক ডেটে বদলি করলে আমাদের কিছু করার থাকে না। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মোঃ আক্তারুজ্জমান বলেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে ২৮মার্চে কাগজ পত্র পেয়েছি। শুক্র ও শনিবার ছুটি । এত কম সময়ের মধ্যে অফিসিয়াল কার্জ কর্ম করা দুরুহ ব্যাপার । তারপরও সমস্ত কাজ শেষ করে ২৯ মার্চ উপজেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি আব্দুল আলীমের নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন এটা আমার দায়িত্ব নয়। ১০/১১ জন নিয়ে শিক্ষা কমিটি গঠিত। শিক্ষা কমিটি সুপারিশ করে দেয়। বদলির দায়িত্ব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের।