প্রধান মেনু

জ্বালানি সাশ্রয়ে জ্বালানি নিরাপত্তার অধিক্ষেত্র বাড়ানো হবে

ঢাকা, ৫ মাঘ (১৮ জানুয়ারি) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জ্বালানি সাশ্রয় বাড়াতে জ্বালানি নিরাপত্তার অধিক্ষেত্র বাড়ানো হবে।
তিনি আজ টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ( স্পেডা)-এর সম্মেলন কক্ষেStakeholders Validation Workshop on National Energy Audit Regulation শীর্ষক কর্মশালায় বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আর্কিটেকচার, রাজউক, চেম্বার বডি বা বিজিএমইএ কে জ্বালানির সাশ্রয় ও দক্ষ ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করার উদ্যোগ স্পেডাকে নিতে হবে। ২০২০ সালের মধ্যে ১৫ শতাংশ ও ২০৩০ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায়। প্রাথমিকভাবে জ্বালানি সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতির মূল্য একটু বেশি হলেও চূড়ন্তভাবে মূল্য সাশ্রয়ী। টেকসই উন্নয়নের জন্য জ্বালানি সাশ্রয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে তিনি বলেন, জ্বালানি সাশ্রয় করতে পারলে উৎপাদন খরচও কম হবে। ২০২০ সালের মধ্যে ১৫ শতাংশ জ্বালানি সাশ্রয় করা সম্ভব হলে প্রায় ৭ হাজার ৪৮২ গিগাওয়াট-আওয়ার বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে যা ২ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি পাওয়ার প্ল্যান্টে প্রায় ১ বছর উৎপাদিত বিদ্যুতের সময়।
স্পেডার সদস্য সিদ্দিক জোবায়ের তার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে বলেন, শিল্পখাতে ৫৪ শতাংশ জ্বালানি ব্যবহৃত হয়। সচেতনভাবে জ্বালানি ব্যবহার করলে এখান থেকে ৩১ ভাগ সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।
বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস কর্মশালায় বলেন, জ্বালানি নিরীক্ষা করার জন্য বিধিমালা থাকা প্রয়োজন। কর্মশালা থকে গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ প্রদান করে নীতিমালাটিকে বাস্তবায়নযোগ্য ও সময়োপযোগী করার আহ্বান জানান তিনি।
অন্যান্যের মধ্যে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোঃ তাজুল ইসলাম এ সময় বক্তব্য রাখেন ।