প্রধান মেনু

জেসিআই বাংলাদেশ ‘উইমেন অফ ইন্সপাইরেসন ২০২১’ পুরস্কার নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নকে ত্বরান্বিত করবে -স্পিকার

ঢাকা, ১৪ চৈত্র (২৮ মার্চ ): স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে নারীদের অবদান ছিল অবিস্মরণীয়। দুই লক্ষ নারীর আত্নত্যাগে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে নারীদের সংকটপূর্ণ চ্যালেঞ্জগুলো জয় করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে, জেসিআই বাংলাদেশ ‘উইমেন অফ ইন্সপাইরেসন ২০২১’ পুরস্কার নারীদের উৎসাহিত করার মাধ্যমে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নকে ত্বরান্বিত করবে।

জেসিআই (জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল) বাংলাদেশের উদ্যোগে রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে গতকাল রাতে অনুষ্ঠিত ‘উইমেন অফ ইন্সপাইরেসন ২০২১’ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পিকার এসব কথা বলেন।

স্পিকার বলেন, মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় নারীর আর্থ-সামাজিক অবদান অস্বীকার করা যাবে না। সমতাভিত্তিক সুন্দর ভবিষ্যৎ প্রত্যেক নারীর মৌলিক অধিকার। টেকসই উন্নয়ন ২০৩০ সরাসরি নারী উন্নয়নের সাথে সম্পৃক্ত। অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে লিঙ্গ সমতাভিত্তিক কার্যক্রম গ্রহণ জরুরি। দারিদ্র্য, বৈষম্য, অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা, সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণের সুযোগের অভাব পাশাপাশি নারী নেতৃত্বের অভাব একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। কোভিডকালে লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য বৃদ্ধির পাশাপাশি নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এধরণের সংকটপূর্ণ চ্যালেঞ্জগুলো উত্তরণ করে লিঙ্গ সমতাভিত্তিক উন্নত ভবিষ্যৎ নির্মাণ তথা নারীর ক্ষমতায়নে উদ্ভাবনী নীতি ও কৌশল প্রণয়ন জরুরি।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, নারীরা পরিবর্তনের কার্যকর নিয়ামক। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার অনন্য দৃষ্টান্ত। কোভিডকালে অসামান্য নেতৃত্বের জন্য তিনি সম্প্রতি কমনওয়েলথ কর্তৃক ‘ইন্সপাইরেশনাল লিডারশিপ’ সম্মাননা অর্জন করেছেন যা জাতির জন্য গৌরবের। নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী নেতৃত্বের বিকাশে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালের জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি, পাসপোর্টে সন্তানের মায়ের নাম অন্তর্ভুক্তিকরণ, মায়ের মাধ্যমে সন্তানের নিকট নাগরিকত্ব প্রদান ইত্যাদি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন যা নারীর অর্থনৈতিক-সামাজিক-সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। শুধু শহরেই নয়, গ্রাম পর্যন্ত তৃণমূল পর্যায়ে নারীরা আজ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে। বাংলাদেশের নারীবান্ধব বাজেট প্রণীত হচ্ছে। বর্তমান সংসদে পঞ্চাশ জন সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য ছাড়াও তেইশ জন নারী সংসদ সদস্য সরাসরি নির্বাচিত। নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ, তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সরকার বিস্তৃত করেছে।

জেসিআই বাংলাদেশের সহসভাপতি ইসমাত জাহান লিসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদ, ইউএস এম্বাসির ডেপুটি চিফ অফ মিশন জোয়ান ওয়াগনার মূল্যবান বক্তব্য রাখেন।