জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেধাবী শিক্ষার্থী কে ল্যাপটপ সহ ৫০ হাজার টাকা প্রদান
            
                     
                        
       		শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী প্রতিনিধি ॥ দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী প্রতিবন্ধী মমতাজ আক্তার মুন্নিকে নীলফামারী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ল্যাপটপ দেয়া হয়েছে। লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট-৩ (এলজিএসপি-৩) এর বরাদ্দ থেকে এটি দেয়া হয়। সে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের ব্রক্ষ্মোত্তর বানিয়াপাড়ার মৃত মোজাম্মেল হকের মেয়ে। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে তার হাতে ল্যাপটপ তুলে দেন জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী।
এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক আব্দুল মোত্তালেব সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আজাহারুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মির্জা মুরাদ হাসান, কামারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল করিম লোকমান বক্তব্য দেন। কামারপুকুরের আইসঢাল খিয়ারপাড়া আলিম এন্ড ভোকেশনাল মাদরাসা থেকে ২০১৮ সালে জিপিএ-৪.৭৯ পেয়ে এসএসসিতে উত্তীর্ণ হয় মুন্নি। চলতি বছর দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি হয় সে।
ইউনিয়ন চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন জানান, জন্মগতভাবে সে প্রতিবন্ধী। দুই হাত দিয়ে কিছুই করতে পারে না সে। দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়াবস্থায় বাবা মারা যায় তার। অভাবের সংসারে মা মাহমুদা বেগম বাড়িতে সেলাই এর কাজ করে সংসার চালান। অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে এ পর্যন্ত এসেছে মেয়েটি। ব্যক্তিগত এবং পরিষদের পক্ষ্য থেকে তার প্রতি সহানুভুতি থাকবে সব সময়। মমতাজ আক্তার মুন্নি বলেন, আমি একজন প্রকৌশলী হতে চাই। আমি সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি। সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন। পড়াশোনার জন্য ল্যাপটপটি খুব জরুরী ছিলো। এ জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই আমার পাশে দাঁড়ানোর জন্য।
এলজিএসপি প্রকল্পের ডিস্টিুক্ট ফ্যাসিলেটর আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে বরাদ্দ থাকা এলজিএসপি’র মানব কল্যাল তহবিল থেকে এটির ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে মেয়েটি শিক্ষাজীবনে এর ব্যবহার করতে পারেন। মেয়েটির পড়াশোনা চালিয়ে নিতে জেলা প্রশাসক ২০ হাজার, জেলা পরিষদ ২০ হাজার এবং পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক আফরোজা বেগম দশ হাজার টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, ৫০ হাজার টাকা এফডিআর করে রাখা হবে তার নামে। এখানকার লভ্যাংশ সে কাজে ব্যবহার করবে। এছাড়াও দুর্যোগ সহনীয় একটি ঘর দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে জেলা প্রশাসন থেকে।












