জেলহত্যা দিবস স্মরণে স্মারক ডাকটিকেট অবমুক্ত করলেন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

ঢাকা, ১৮ কার্তিক (৩ নভেম্বর) : ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস স্মরণে ডাক অধিদপ্তর ৫টাকা মূল্যমানের ৫টি স্মারক ডাকটিকেটের সমন্বয়ে একটি সিটলেট, দশটাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম, ৫টাকা মূল্যমানের একটি ডাটাকার্ড ও একটি বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করেছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আজ তাঁর দপ্তর থেকে সিটলেট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্তকরণসহ ডাটাকার্ড প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর জেলহত্যাকাণ্ড ইতিহাসের একটি পৈশাচিক ও বর্বরোচিত ঘটনা। এটি ছিল জাতির পিতার নেতৃত্বে বাঙালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা নস্যাৎ করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার স্বপ্নকে ধ্বংস করার দেশি-বিদেশি কুচক্রিমহলের ষড়যন্ত্রের ফসল।
তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট এবং ৩ নভেম্বরের হৃদয়বিদারক ঘটনা দু’টি ছিল বাঙালি জাতিকে কার্যকর নেতৃত্ব থেকে বঞ্চিত করার পরাজিত শক্তির গভীর ষড়যন্ত্রের কুৎসিত বাস্তবায়ন। বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফা জব্বার জাতীয় চারনেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামানের ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, তাঁরা ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরীক্ষিত রাজনৈতিক সহকর্মী। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের রক্তের সাথে তাঁরা বিশ্বাসঘাতকতা করেননি বলেই ইতিহাসের মীরজাফররূপী খুনি মোস্তাক তাঁদের বাঁচতে দেয়নি। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এদেশের স্বাধিকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনের পরতে পরতে তাঁদের ভূমিকা ইতিহাসে অমরত্ব দান করবে। জাতীয় চারনেতা বঙ্গবন্ধু, সংবিধানের চার মূলনীতির প্রতি আনুগত্যের যে দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, তা তাঁদেরকে চিরজাগরূক করে রাখবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
স্মারক ডাকটিকেট সমন্বয়ে সিটলেট ও উদ্বোধনী খাম আজ ঢাকা জিপিও’র ফিলাটেলিক ব্যুরো থেকে বিক্রি করা হবে। পরবর্তীতে অন্যান্য জিপিও ও সকল ডাকঘর থেকে বিক্রি করা হবে। উদ্বোধনী খামে ব্যবহারের জন্য চারটি জিপিওতে বিশেষ সিলমোহরের ব্যবস্থা আছে।