জাহাজভাঙ্গা শিল্পকে নিরাপদ ও পরিবেশসম্মত করতে কাজ করছে সরকার — পরিবেশ উপমন্ত্রী

ঢাকা, ২৭ বৈশাখ (১০ মে) : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেছেন, জাহাজভাঙ্গা শিল্পকে পরিবেশসম্মত ও নিরাপদ করতে নিরলসভাবে কাজ করছে সরকার। তিনি বলেন, জাহাজ ভাঙ্গার ক্ষেত্রে যাতে ক্ষতিকর রাসায়নিক, জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি, জীববৈচিত্র্যের প্রতি হুমকি রোধ করা হয় তা নিশ্চিতে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সাথে কাজ করছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়। এলক্ষ্যে সরকার প্রণীত বিপদজনক বর্জ্য ও জাহাজ ভাঙ্গার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০১১; ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য (ই-বর্জ্য) ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২১, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০২১, চিকিৎসা-বর্জ্য (ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণ) বিধিমালা, ২০০৮ অনুসরণ করা হচ্ছে। এ সকল বিধিমালার সঠিক বাস্তবায়নে যেকোনো জাহাজ ভাঙ্গার ক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ নিয়মিত পরিদর্শন করছে।
আজ সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নরওয়ের জলবায়ু ও পরিবেশ বিষয়ক উপমন্ত্রী রাগনহিল্ড সজোনার সিরস্টাড এর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সাথে এক দ্বিপাক্ষিক সভায় পরিবেশ উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন ইকটার-সেভেনডসেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব
ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, উপসচিব মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী; নরওয়ে দূতাবাসের ডেপুটি হেড অভ্ মিশন সিলজে ফাইনস ওয়ানেবোসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তা এবং নরওয়ের জাহাজ মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় নরওয়ের জলবায়ু ও পরিবেশ বিষয়ক উপমন্ত্রী রাগনহিল্ড সজোনার সিরস্টাড এবং রাষ্ট্রদূত এসপেন রিক্টর-সভেনডসেন জাহাজের নিরাপদ এবং পরিবেশগতভাবে পুনর্ব্যবহারের জন্য হংকং আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুমোদনে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করার জন্য পরিবেশ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেন।
নরওয়ের জলবায়ু ও পরিবেশ বিষয়ক উপমন্ত্রী জানান, নরওয়ে সরকারের ক্লাইমেট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড হতে সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত একটি দেশ। এ সংক্রান্ত থাইল্যান্ডের আঞ্চলিক অফিসের সাথে যোগাযোগ করে বাংলাদেশকে জলবায়ু মোকাবিলায় সহায়তা করা হবে। এছাড়া জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশকে প্রদত্ত সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সবচাইতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে ৭ম। এর ফলে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ সম্পদ হারাচ্ছে। এসময় তিনি আন্তর্জাতিক প্রতিজ্ঞা রক্ষায় সক্ষমতা বৃদ্ধি, রাসায়নিক বর্জ্য নিয়ন্ত্রণ, সবুজ শিল্প স্থাপন সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে নরওয়ের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা কামনা করেন। সভায় কপ২৮ সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরামে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরো গভীর করার বিষয়েও দু’পক্ষ ঐকমত্য পোষণ করে।