প্রধান মেনু

জাতীয় স্যানিটেশন মাস-অক্টোবর ও বিশ্ব হাত ধোয়া দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ২৯ আশ্বিন (১৪ অক্টোবর) :  রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ১৫ অক্টোবর জাতীয় স্যানিটেশন মাস-অক্টোবর ২০২২ ও বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

“স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় কর্তৃক স্যানিটেশন ও হাইজিন তথা স্বাস্থ্যশিক্ষা বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশব্যাপী ‘জাতীয় স্যানিটেশন মাস-অক্টোবর ২০২২’ ও ‘বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস ২০২২’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।

স্বাস্থ্যসম্মত ও টেকসই স্যানিটেশন ব্যবস্থা এবং ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার পূর্বশর্ত। বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসজনিত সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এবং ডায়রিয়ার মতো নানা রোগ থেকে রক্ষায় উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস খুবই জরুরি। সুন্দর জীবন ও শারীরিক সুস্থতার জন্য প্রতিটি কাজের ক্ষেত্রে বিশেষ করে খাওয়ার আগে ও শৌচকাজ শেষে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ায় অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। স্যানিটেশন কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে এসকল কার্যক্রমে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। পানিবাহিত নানা রোগ জীবাণু মোকাবিলায় সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার গুরুত্ব উপস্থাপন এবং এক্ষেত্রে সকল প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে হাত ধোয়া কার্যক্রমে সামাজিক পর্যায়ে সকলের অংশগ্রহণ ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।

স্যানিটেশন কর্মসূচিতে ‘সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে যা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট’ এর লক্ষ্য অর্জনে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পৌরসভায় সংগ্রহ পদ্ধতির পরিবর্তে আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে ল্যাট্রিন পিট বা সেপটিক ট্যাংক হতে পয়ঃবর্জ্য সংগ্রহ করে তা পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনাগারে পরিশোধন করা হচ্ছে যা পর্যায়ক্রমে দেশের সকল পৌরসভায় বাস্তবায়িত হবে। এছাড়া সকলের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন নিশ্চিতে স্যানিটারি ল্যাট্রিন নির্মাণ, পাবলিক ও কমিউনিটি টয়লেট স্থাপনসহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হাত ধোয়ার সুবিধা সমৃদ্ধ ওয়াশ-ব্লক স্থাপন করা হচ্ছে। দেশব্যাপী সু্ষ্ঠু স্যানিটেশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে জনসচেতনতার প্রসারে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। সামনের দিনগুলোতে টেকসই স্যানিটেশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং পরিচ্ছন্নতা ও সঠিক স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলনে বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যাবে – এ আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

‘জাতীয় স্যানিটেশন মাস-অক্টোবর ২০২২’ ও ‘বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস ২০২২’ উদযাপন সফল হোক   এ কামনা করি।

জয় বাংলা।

খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”