জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ১৬ কার্তিক (১ নভেম্বর) : রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আগামীকাল ‘জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন: “স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদ ও সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির যৌথ উদ্যোগে দেশব্যাপী ‘জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস ২০২৩’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
মেডিকেল ও ডেন্টাল ছাত্রছাত্রী কর্তৃক পরিচালিত সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান সন্ধানী বিগত চার দশকের বেশি সময় যাবৎ স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান কর্মসূচি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। জরুরি অস্ত্রোপচার, দুর্ঘটনা, অসুস্থতাসহ বিভিন্ন কারণে মুমূর্ষু রোগীকে বাঁচাতে দেশে রক্তের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এমতাবস্থায় মানুষকে সচেতন করে রক্তের যোগান বৃদ্ধিতে সরকারি-বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে। মানবহিতৈষী এ কর্মকাণ্ডে সন্ধানীর ভূমিকা প্রশংসনীয়।
আমাদের দেশে প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ কর্নিয়াজনিত সমস্যার কারণে অন্ধত্ববরণ করছে। কিশোর- কিশোরী এবং কর্মক্ষম ব্যক্তিবর্গ এই কর্নিয়াজনিত কারণে অন্ধ হচ্ছেন। এই বিপুল সংখ্যক অন্ধ ব্যক্তির চিকিৎসায় পরিবার ও রাষ্ট্র অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় হলো এই বিপুল সংখ্যক অন্ধ মানুষের দৃষ্টি ফিরিয়ে দেয়া। কর্নিয়াজনিত অন্ধত্বের ক্ষেত্রে মানব কর্নিয়া প্রতিস্থাপনই একমাত্র চিকিৎসা। তাই কর্নিয়াজনিত অন্ধত্ব দূরীকরণে স্বেচ্ছায় রক্তদানের পাশাপাশি মরণোত্তর চক্ষুদানে সকলকে উৎসাহিত করতে হবে। মানব কল্যাণে রক্ত ও মরণোত্তর চক্ষুদানে সকলেই এগিয়ে আসবেন, ‘জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস’- এ এটাই সকলের প্রত্যাশা।
আমি ‘জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”