প্রধান মেনু

জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা সপ্তাহ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির বাণী

প্রধানমন্ত্রীর বাণী: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৬ এপ্রিল ‘জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা সপ্তাহ’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “সকলের সুস্থতা নিশ্চিতকল্পে ‘স্বাস্থ্যসেবা অধিকার-শেখ হাসিনার অঙ্গীকার’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ১৬ এপ্রিল ২০১৯ খ্রি. থেকে ‘জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা সপ্তাহ’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। বর্তমান সরকার স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নসহ স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে যার সুফল জনগণ ইতোমধ্যে পেতে শুরু করেছে। চিকিৎসা সেবাকে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণের যুগান্তকারী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যখাতের সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ অর্জন করেছে এমডিজি অ্যাওয়ার্ড, সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ড ও গ্যাভি অ্যাওয়ার্ডের মতো আন্তর্জাতিক পুরস্কার।

দেশে চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন, পর্যাপ্ত সংখ্যক জনবল নিয়োগ, পরিবার পরিকল্পনা, নার্সিং সেবার উন্নয়ন, স্বাস্থ্যখাতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, আইন ও নীতিমালা প্রণয়নসহ স্বাস্থ্যখাতে আমরা ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকা- বাস্তবায়ন করেছি। ফলে সমাজের সকল স্তরের জনগণের প্রয়োজনীয় মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ভোগান্তি বহুলাংশে লাঘব হয়েছে। গ্রাম পর্যায়ে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতি ৬ হাজার গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত নির্মিত প্রায় ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম চালু হয়েছে।

প্রায় ১৪ হাজার প্রশিক্ষিত কমিউনিটি হেলথ কেয়ারপ্রোভাইডার (সিএইচসিপি) এর মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিকে ৩০ প্রকারের ঔষধ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। এ পর্যন্ত ৮৫ কোটিরও বেশি পরিদর্শনের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগণ কমিউনিটি ক্লিনিক হতে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করেছেন। স্বাস্থ্যখাতে সরকারের এ উদ্যোগ সারাবিশ্বে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকেও এগিয়ে আসতে হবে। একই সঙ্গে জনসাধারণের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিতদের দায়িত্ববোধ নিশ্চিত করতে ‘জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা সপ্তাহ, ২০১৯’ পালন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। আমি স্বাস্থ্যসেবা সপ্তাহ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

রাষ্ট্রপতির বাণী:  রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১৬ এপ্রিল ‘জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা সপ্তাহ’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা সপ্তাহ’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আয়োজিত স্বাস্থ্যসেবা সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ‘স্বাস্থ্যসেবা অধিকার, শেখ হাসিনার অঙ্গীকার’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি। জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে বর্তমান সরকার ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

সারাদেশের হাসপাতালগুলোর শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধিসহ নিয়োগ দেয়া হয়েছে চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য সাপোর্টিং স্টাফ। মেডিকেল শিক্ষার প্রসারে গড়ে তোলা হচ্ছে নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে সারাদেশে প্রায় সাড়ে আঠারো হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্য, পরিবার কল্যাণ ও পুষ্টিসেবা প্রদান করা হচ্ছে। অবকাঠামো উন্নয়ন, দক্ষ জনশক্তি তৈরি ও নিয়োগ, অত্যাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সংগ্রহ ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে দেশে চিকিৎসা সেবার মান যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে।

ফলশ্রুতিতে মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে, কমেছে মা ও শিশু মৃত্যুর হার। স্বাস্থ্যখাতে সাফল্যের এ ধারা অব্যাহত রাখতে আমি স্বাস্থ্যখাতের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে পেশাগত দায়িত্ববোধ থেকে জনগণকে সেবা প্রদানের আহ্বান জানাচ্ছি। বাংলাদেশকে ২০২১ সালে মধ্য আয়ের ও ২০৪১ সালে উন্নত দেশে রূপান্তরের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্য অর্জনের পাশাপাশি ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে আমাদের বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের জন্য আরো সহজলভ্য ও গ্রহণযোগ্য করতে সংশ্লিষ্ট সকলে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাবেন – এ প্রত্যাশা করি। আমি ‘জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা সপ্তাহ’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি। খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”