প্রধান মেনু

জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা,  ২৯ ভাদ্র (১৩ সেপ্টেম্বর) : রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আগামীকাল জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :   ‘‘বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উদ্‌যাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ উপলক্ষ্যে স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি ও স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন।

বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শোষিত, বঞ্চিত ও নিপীড়িত জনতার মুক্তির জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। এ দেশের মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ ও অর্থনীতির  শক্ত ভিত গড়ে তোলার জন্য স্বাধীনতার পরপরই নবরূপে গঠন করা হয় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থা, আইনকানুন ও বিধিবিধান। দেশে শুরু হয় বহুমুখী উন্নয়নের নতুন ধারা। বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনায় সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৯ ও ৬০ অনুচ্ছেদে বর্ণিত স্থানীয় শাসনের বিধানের আলোকে নাগরিক সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ।

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে পরিচালিত হয় এবং জনগণকে কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে এ বিভাগ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সিটি কর্পোরেশন হতে শুরু করে, জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যন্ত পাঁচ স্তরের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা রয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তাগণ উন্নত নাগরিক সেবা প্রদানে এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সে প্রেক্ষিতে দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘সেবা ও উন্নতির দক্ষ রূপকার, উন্নয়নে-উদ্ভাবনে স্থানীয় সরকার’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।

আমি আশা করি দিবসটি পালনের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার ও সাধারণ জনগণের মেলবন্ধন আরো দৃঢ় হবে এবং সেবাপ্রাপ্তি হবে সহজ ও ঝামেলামুক্ত। স্থানীয় সরকার অধিকতর দক্ষতার সাথে নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন, শিক্ষা, চিকিৎসা, সামাজিক নিরাপত্তা, অবকাঠামো উন্নয়ন প্রভৃতি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবে এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে -এটাই সকলের প্রত্যাশা।

স্থানীয় সরকার দিবস পালন সফল হোক-এ কামনা করি।

জয় বাংলা।

খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’