প্রধান মেনু

জাতীয় সমাজসেবা দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ১৭ পৌষ (১ জানুয়ারি) : রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আগামীকাল জাতীয় সমাজসেবা দিবস উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস ২০২৪’ উদ্‌যাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘সমাজসেবায় গড়বো দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি   মনে করি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি আমাদের প্রিয় স্বাধীনতা। পাকিস্তানি কারাগারের বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরেই বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের পাশাপাশি দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে গুরুত্বারোপ করেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে ১৫(ঘ) অনুচ্ছেদ সন্নিবেশনের মাধ্যমে তিনি সামাজিক নিরাপত্তাকে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত করেন। তিনি ১৯৭৪ সালে সুদমুক্ত ঋণ কার্যক্রম প্রচলন করে দেশে ও সমসাময়িক বিশ্বে অনন্য নজির স্থাপন করেন। বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার সামাজিক নিরাপত্তাবলয়ের পরিধি বৃদ্ধি করেছে। ইতোমধ্যে সমাজসেবা অধিদপ্তর ৫৪টি কর্মসূচির সমন্বয়ে সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তাবলয় সুদৃঢ়করণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এছাড়া, দেশের অনগ্রসর, অসহায়, দুঃস্থ, প্রবীণ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নের পাশাপাশি সুবিধাবঞ্চিত এবং আইনি সহযোগিতা প্রয়োজন এমন শিশু-কিশোরদের বিকাশ, অধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়ন নিশ্চিতকরণেও কাজ করছে সরকার।

বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে চলেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে শামিল হওয়ার জন্য সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন মেগা প্রকল্প গ্রহণ ও সামাজিক নিরাপত্তাবলয় দৃঢ়ীকরণের ফলে দেশে দারিদ্র্যের হার ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। জীবনচক্রভিত্তিক কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশকে একটি দৃঢ় কল্যাণ রাষ্ট্রে উন্নীত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।

আমি আশা করি, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় কেউ পিছিয়ে থাকবে না। সকলকে সঙ্গে নিয়ে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাসমূহকে একসাথে কাজ করতে হবে। সাধারণ মানুষের কাছে সরকারি সেবার সুফল পৌঁছে দিতে আমি উদ্যমী ও সৃষ্টিশীল ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।

আমি ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস ২০২৪’ উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করি।

জয় বাংলা।

খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”