প্রধান মেনু

জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী

জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ২৫ নভেম্বর জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন: 

“বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রপ্তানিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদানের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। রপ্তানিকারকরা তাদের মেধা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। আমি পুরস্কারপ্রাপ্ত রপ্তানিকারকদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।

বাংলাদেশের জিডিপিতে রপ্তানি খাতের অবদান ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ার প্রথম ধাপ অতিক্রম করেছে। নতুন প্রেক্ষাপটে সম্ভাবনার সাথে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এসব সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জকে বিবেচনায় রেখে বর্তমান সরকার দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে নীতিগত ও আর্থিক সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি অবকাঠামোগত উন্নয়নে নানামুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ, জাতীয় মহাসড়কগুলোকে ক্রমান্বয়ে চার লেনে উন্নীতকরণসহ সারাদেশে প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল। একই সাথে সরকার রপ্তানি বাণিজ্যের সম্প্রসারণে শিল্পকারখানার কর্ম পরিবেশের উন্নয়ন, শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও পরিবেশবান্ধব উৎপাদন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি মালিক-শ্রমিক সকলের সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি বলে আমি মনে করি।

দক্ষ শ্রমশক্তি শিল্পের প্রাণ। রপ্তানিকারক প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে শিল্পে নিয়োজিত জনশক্তিকে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করতে হবে। এছাড়া রপ্তানি বাণিজ্যে টিকে থাকার জন্য পণ্যের মান উন্নয়নের পাশাপাশি নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি, বর্তমান বাজারকে সংহত করা এবং নতুন নতুন পণ্য রপ্তানি তালিকায় যুক্ত করতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২০২১ সালে ৬০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি।

বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, টেকসই শিল্পায়নের প্রসার ও নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে রপ্তানিকারকদের সম্মাননা ও জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে সফল হোক – এ প্রত্যাশা রইল।

খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ নভেম্বর জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“রপ্তানি বাণিজ্যে বিশেষ অবদান রাখা কৃতী রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা জানানোর উদ্দেশ্যে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০১৫-১৬ বিতরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে রপ্তানি খাতের গুরুত্ব অপরিসীম। দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মকা-ে গতি আনয়নের ক্ষেত্রে রপ্তানি খাত বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে চলেছে। রপ্তানি বাণিজ্যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে দেশের সমৃদ্ধিতে অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ যে সকল প্রতিষ্ঠান ২০১৫-১৬ অর্থবছরে জাতীয় রপ্তানি ট্রফির জন্য মনোনীত হয়েছে তাদের আমি শুভেচ্ছা জানাই।
বর্তমান সরকার দেশকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করে বিশ্ব দরবারে একটি মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠা করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে রূপকল্প ২০২১ এবং ২০৪১ ঘোষণা করা হয়েছে। তাছাড়া ২১০০ সালের জন্য ডেল্টা প্ল্যানও প্রণয়ন করা হয়েছে। এই রূপকল্প বাস্তবায়নে সরকার স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। বর্তমান সরকার দেশের ব্যবসাবাণিজ্য সম্প্রসারণ ও রপ্তানি খাতের বিকাশে বিভিন্ন প্রকার সহায়ক নীতিমালা প্রণয়নের পাশাপাশি রপ্তানি কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। সরকার দেশের রপ্তানি সম্প্রসারণে বাজার ও পণ্যের বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। সরকার দেশের রপ্তানি খাতের ক্রমাগত উন্নয়ন এবং ব্যবসাবাণিজ্য সম্প্রসারণে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছে।
যে সকল উদ্যোক্তা রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের যোগ্যতার প্রমাণ রাখতে সক্ষম হয়েছেন তার স্বীকৃতি হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মানিতকরণের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য আমি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। ভবিষ্যতে রপ্তানি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে আমাদেরকে আরো উদ্ভাবনী হতে হবে।
আগামীতে আমাদের স্ব স্ব অবস্থান থেকে আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবো বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
আমি জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০১৫-১৬ বিতরণ অনুষ্ঠানের সাফল্য কামনা করি।