প্রধান মেনু

জাতীয় যুব দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ১৫ কার্তিক (৩১ অক্টোবর) : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “দক্ষ যুব গড়ছে দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় যুব দিবস-২০১৯ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। যুব দিবস উপলক্ষে আমি দেশের তারুণ্যদীপ্ত যুবসমাজকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। যুবরাই জাতির প্রাণশক্তি, উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রধান নিয়ামক। তারা সাহসী, বেগবান, প্রতিশ্রুতিশীল, সম্ভাবনাময় এবং সৃজনশীল। যুবদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা, অমিত তেজ ও সাহস, কর্মস্পৃহা ও কর্মক্ষমতা দেশ ও জাতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই যুবসমাজ যে কোনো দেশের অতি মূল্যবান সম্পদ।

বাংলাদেশের ইতিহাস যুবদের গৌরবময় অবদানে ভাস্বর। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, গণতান্ত্রিক আন্দোলনসহ জাতির বিভিন্ন সঙ্কট উত্তরণে যুবসমাজের অবদান জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার বৃহৎ অংশই যুবসমাজ যার বয়সসীমা ১৮ হতে ৩৫ বছর। আগামী ২০৪৩ সাল পর্যন্ত যুবসমাজের সংখ্যাগত আধিক্যের এ ধারা অব্যাহত থাকবে। এ জনমিতিক সুবিধা (Demographic Dividend) কাজে লাগাতে আমাদের যুবসমাজকে শিক্ষা-সংস্কৃতি, খেলাধুলা-তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তর ও জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ যুবসমাজের জন্য অংশগ্রহণমূলক,

শান্তিপূর্ণ, ন্যায়সঙ্গত ও অভেদ্য উন্নয়ন নিশ্চিত করা প্রয়োজন। পশ্চাৎপদতা, কুসংস্কার, মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে দূরে রেখে আধুনিক, বিজ্ঞানমনস্ক, পরমতসহিষ্ণু, উদার ও নৈতিকতাসম্পন্ন বিবেকবান মানুষ হিসেবে যুবদেরকে গড়ে তুলতে হবে। দেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়তে হলে যুবকদের দেশপ্রেম, দেশের মানুষের প্রতি কর্তব্য ও মমত্ববোধ সবসময় জাগ্রত রাখতে হবে। দেশপ্রেমের মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে যুবসমাজ দেশ গঠনের কাজে নিজেদের ‌আরো বেশি নিবেদিত করবে – এ প্রত্যাশা করি। আমি ‘জাতীয় যুব দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করি। খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”