জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ১৮ মাঘ (১ ফেব্রুয়ারি) : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস ২০২০ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস ২০২০’ উদ্যাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘সবাই মিলে হাত মেলাই, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত চাই’ যথাযথ হয়েছে বলে আমি মনে করি। জনস্বাস্থ্য নিশ্চিতকল্পে ভেজালমুক্ত, নিরাপদ ও পুষ্টিসম্মত খাদ্যের গুরুত্ব অপরিসীম। অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণে ক্যান্সার, কিডনিরোগ, বিকলাঙ্গতাসহ মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির সৃষ্টি হয়। এ জন্য পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি অত্যন্ত জরুরি।
খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সংক্রান্ত বিষয়গুলো জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টে গুরুত্বের সাথে স্থান পেয়েছে। এর সাথে সংগতি রেখে বর্তমান সরকার জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন, নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ, চিকিৎসা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যাপক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। সরকার গত দশ বছরে কৃষির সার্বিক উন্নয়নে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে। ফলশ্রুতিতে আমরা এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমাদের এ অর্জনকে ধরে রাখতে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আবশ্যক। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিয়মিত নজরদারি ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা এ ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে স্বাস্থ্যবান ও কর্মক্ষম করে গড়ে তুলতে পুষ্টিসম্মত নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নেই।
আমি সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থাসহ জনসাধারণকে নিরাপদ খাদ্য আন্দোলনে শামিল হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় উদ্যাপনের লক্ষ্যে ১৭ মার্চ ২০২০ হতে ১৭ মার্চ ২০২১ তারিখ পর্যন্ত সময়কে ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করা হয়েছে। মেধামননে উৎকর্ষ ও কর্মক্ষম একটি জাতি গঠনে সকলের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করাই হোক মুজিববর্ষে আমাদের সকলের অঙ্গীকার। আমি ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস ২০২০’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি। খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক”।