জাতীয় কৃষি যন্ত্রপাতি মেলা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ২৫ এপ্রিল ‘জাতীয় কৃষি যন্ত্রপাতি মেলা ২০১৯’ উপলক্ষে নিম্নােক্ত বাণী প্রদান করেছেন: “কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২৫-২৭ এপ্রিল ‘জাতীয় কৃষি যন্ত্রপাতি মেলা ২০১৯’ আয়োজিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। কৃষি আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে এ ধরনের আয়োজন অত্যন্ত সময়োচিত পদক্ষেপ বলে আমি মনে করি।
আবহমানকাল থেকেই কৃষি আমাদের উন্নয়নের অন্যতম প্রধান নিয়ামক হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। তাই দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য প্রযুক্তিনির্ভর টেকসই কৃষি ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব অত্যধিক। সরকারের বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণের ফলে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। খাদ্যশস্য, ফল ও শাকসবজি উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় দেশ। কৃষির এই উন্নয়ন অভিযাত্রায় কৃষি যান্ত্রিকীকরণ নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
সামগ্রিক উন্নয়নের প্রেক্ষাপটে নগরায়ণ ও শিল্পায়নের ফলে কৃষিজমির পরিমাণ দিন দিন কমছে। গ্রাম থেকে মানুষ শহরমুখী হচ্ছে। এক্ষেত্রে কৃষি শ্রমিকের অভাবজনিত সংকট নিরসন এবং ফসল উৎপাদন ও সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনায় খরচ কমাতে বিভিন্ন স্তরে লাগসই কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি। এ বছরের কৃষি যন্ত্রপাতি মেলার প্রতিপাদ্য ‘যান্ত্রিকীকরণই গড়বে আধুনিক ও লাভজনক কৃষি’ এ প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি। দেশের চাহিদানুযায়ী উপযোগী কৃষি যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন ও ব্যবহারেকৃষি প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে এ প্রত্যাশা করি।
বর্তমান সরকার কৃষি যন্ত্রপাতি জনপ্রিয়করণের লক্ষ্যে নানামুখী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে চলেছে। কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ে হাওর ও উপকূলীয় এলাকার কৃষকদের ৭০ শতাংশ এবং দেশের অন্যান্য এলাকার জন্য ৫০ শতাংশ উন্নয়ন সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে এসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার ও জনপ্রিয়করণের জন্যও প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমি আশা করি জাতীয় পর্যায়ে কৃষি যন্ত্রপাতি মেলার আয়োজন দেশের কৃষি যান্ত্রিকীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। আমি ‘জাতীয় কৃষি যন্ত্রপাতি মেলা ২০১৯’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”