প্রধান মেনু

জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ২ অক্টোবর জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন

‘‘শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) দেশব্যাপী ‘জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস’ উদ্যাপন করছে জেনে আমি আনন্দিত। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে এটি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।

জাতীয় অর্থনীতিতে উৎপাদনশীলতার গুরুত্ব অপরিসীম। উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি জিডিপি’র প্রবৃদ্ধিসহ উৎপাদন, সঞ্চয়, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থানের পাশাপাশি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বিপুল অবদান রাখে। তাই দেশে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য কৃষি, শিল্প, সেবাসহ সকল সেক্টরে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে হলে প্রতিটি উৎপাদনশীল খাতে উৎকর্ষ সাধন করতে হবে। উৎপাদনের সকল স্তরে পণ্যের গুণগতমান নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্য অর্জনে এনপিও শিল্প ও সেবাখাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ, উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি ও গবেষণা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। আমি আশা করি দেশের  শিল্প ও সেবাখাতে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট সকলে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখবেন।

সরকার ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্য-আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে বদ্ধপরিকর। সে লক্ষ্যে দেশের সকল সেক্টরে উন্নয়ন বেগবান করার পাশাপাশি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি আবশ্যক। উৎপাদনশীলতা দিবসের কর্মসূচি এ ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা করি।

আমি জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস ২০১৬ উদ্যাপনের সার্বিক সাফল্য কামনা করি।

খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’

জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২রা অক্টোবর জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) এর উদ্যোগে ২রা অক্টোবর, ২০১৬ জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।
উৎপাদনশীলতা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের চাবিকাঠি। সরকারের রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নে এটি এক অপরিহার্য উপাদান। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উৎপাদনশীলতা উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। এজন্য সর্বস্তরের জনগণের মাঝে এ বিষয়ে সচেতনতাবোধ সৃষ্টি করা প্রয়োজন।
আমি আশা করি, দিবসটি পালনের মাধ্যমে সর্বস্তরের জনগণ উৎপাদনশীলতা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সচেষ্ট হবে এবং উৎপাদনশীলতা আন্দোলন আরো বেগবান হবে।
আমি ‘জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস-২০১৬’- এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”