জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ১৬ আশ্বিন (১ অক্টোবর) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ‘জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন: “শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) এর আয়োজনে ২ অক্টোবর ২০২৩ দেশব্যাপী ‘জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস’ উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য- ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে উৎপাদনশীলতা (Productivity for Smart Bangladesh)’। আওয়ামী লীগ সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছে। এজন্য সরকারি ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন এবং এর উন্নয়নে একটি দক্ষ ও স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যে সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমাদের সরকার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’ গঠন করেছে। তাই এ বছর এনপিও কর্তৃক গৃহীত প্রতিপাদ্য যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
বাংলাদেশ এখন গোটা বিশ্বে উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ হিসেবে বিবেচিত। গত এক দশকেরও বেশি সময়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস, লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ, গড় আয়ু বৃদ্ধিসহ আর্থসামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। আমরা ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। একই সময়ে সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সকল সেক্টরে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি অপরিহার্য । এজন্য জনগণের মধ্যে উৎপাদনশীলতা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি।
ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন দিবসটি জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদ্যাপনে নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমি আশা করি, জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস পালন উৎপাদনশীলতা উন্নয়নের গতি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আমি ‘জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস ২০২৩’ উদ্যাপনের সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”