জাতীয় ইমাম সম্মেলনে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ১৩ কার্তিক (২৯ অক্টোবর) : রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আগামীকাল জাতীয় ইমাম সম্মেলন উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন: “ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত জাতীয় ইমাম সম্মেলন উপলক্ষ্যে আমি দেশের সকল মসজিদের ইমাম-খতিব, আলেম-ওলামাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও মোবারকবাদ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন পরিপূর্ণভাবে ইসলামের অনুশাসনে বিশ্বাসী একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান। ইসলামের সুমহান শিক্ষার আলোয় আলোকিত ছিল তাঁর হৃদয়। ইসলামের সঠিক শিক্ষা ও মর্মবাণী জনগণের মাঝে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালের ২২ মার্চ ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ইসলামিক ফাউন্ডেশন ইসলামের প্রচার ও প্রসারের মাধ্যমে ইসলামি মূল্যবোধসম্পন্ন সমাজ গঠনে কাজ করে যাচ্ছে। ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি মসজিদের ইমাম ও খতিবগণকে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন আর্থসামাজিক উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছে। ইমামগণ সমাজের অত্যন্ত শ্রদ্ধেয়, মর্যাদাশীল ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। সমাজ সংস্কার ও জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সম্পৃক্ত থেকে একটি সমৃদ্ধ জাতি গঠনে তারা কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারেন। ইতোমধ্যে ইমামগণ দ্বীনি শিক্ষার পাশাপাশি প্রাথমিক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, কৃষি ও বনায়ন, আদর্শ পরিবার গঠন, জনস্বাস্থ্য, নারী ও শিশু পাচার রোধ, পরিবেশ ও সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছেন যা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রাখছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধেও ইমাম ও আলেম সমাজের ভূমিকা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হচ্ছে।
আমি আশা করি, দেশের ইমাম সমাজ তাঁদের অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দেশ ও জাতির উন্নয়নে আরো গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে কার্যকর অবদান রাখবেন।
আমি জাতীয় ইমাম সম্মেলনের সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক ।”