প্রধান মেনু

জাতি হিসেবে আমাদের কলঙ্ক মোচনের জন্যই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সাজা নিশ্চিত করা জরুরি — আইনমন্ত্রী

আম্মান, (জর্ডান) (১৬ আগস্ট) : জর্ডানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবসের ধারাবাহিক অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে ১৬ আগস্ট একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়েছে। আম্মানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে বছরব্যাপী ওয়েবিনার সিরিজ আয়োজন করছে। শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষ্যে আয়োজিত এই ওয়েবিনারটি দূতাবাসের ৮ম আয়োজন।

ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জর্ডানের প্রিন্সেস বাসমা বিন্তে আলী এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাসিমা বেগম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রোভিসি প্রফেসর নাসরিন আহমেদ উক্ত ওয়েবিনারে গেস্ট অভ্ অনার হিসেবে বিশেষ বক্তব্য রাখেন। রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ওয়েবিনারে অন্যান্যদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি গবেষক মফিদুল হক এবং সাংবাদিক সৈয়দ বদরুল আহসান বক্তব্য রাখেন।

মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা বিশ্ব ইতিহাসে মানবাধিকার ও মানবতার এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। হত্যার বিচার বন্ধে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি পৃথিবীর ইতিহাসেও বিরল। একটি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টাকে তাঁর পরিবার এমনকি শিশুসন্তানসহ হত্যা বর্বরতার এক নিকৃষ্ট উদাহরণ।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় খুনিদের পুনর্বাসন করা হয়েছে। হত্যাকারীদের বিচার না করার প্রবণতা রাষ্ট্রের মানবাধিকার ও আইনের প্রতি চরম হুমকি। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের উদ্যোগ নেয়। প্রচলিত ব্যবস্থায়ই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার সম্পন্ন করে খুনিদের রায় কার্যকরের উদ্যোগ নেয়া হয়।

আইনের শাসন ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ও রায় কার্যকর করা প্রয়োজন। জাতি হিসেবে আমাদের কলঙ্ক মোচনের জন্যই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সাজা নিশ্চিত করা জরুরি এবং এই বিষয়ে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আশার কথা হলো দেরিতে হলেও বাংলাদেশ আইনের শাসনকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে। আজকের বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যার হাত ধরে এগিয়ে চলেছে তা বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বের ফসল। নিরলসভাবে তিনি বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকেই বাস্তবায়ন করে চলেছেন।

জর্ডানের প্রিন্সেস বাসমা বিন্তে আলী বলেন, বাংলাদেশের অস্তিত্ব এবং শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের কারিগর ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। এমন একজন নেতা, একজন দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ককে হত্যা সত্যিই হতাশা ও বেদনাদায়ক। তিনি বঙ্গবন্ধুর আত্মার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। প্রিন্সেস বাসমা বিন্তে আলী বাংলাদেশের বর্তমান অগ্রযাত্রার সাফল্যও কামনা করেন।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালক রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান তাঁর স্বাগত বক্তব্যের প্রারম্ভে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের নিহত সকল শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।