জাতিসংঘে মহান বিজয় দিবস উৎযাপন নিউইয়র্ক
যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন নিউইয়র্কএবং বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল নিউইয়র্কের যৌথ আয়োজনে ১৬ ডিসেম্বর ৪৮তম বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপনের সূচনা হয়। এসময় মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহিদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।সন্ধ্যায় অনুষ্ঠান শুরু হয় মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই দিবসটি উপলক্ষে দেয়া রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্তিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী প্রবাসী বাঙালিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত মাসুদ তার উদ্বোধন অনুষ্ঠানের বক্তব্যের শুরুতেই স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। রাষ্ট্রদূত মাসুদ বলেন, বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ির সেই সময় থেকে আজ অনেক দূরে চলে এসেছে। আজ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, তথ্যপ্রযুক্তি, দারিদ্র্যমোচন প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। স্বল্পোন্নত দেশের ক্যাটেগরি থেকে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করে আজ উন্নয়নশীল দেশের পথে এগিয়ে চলছে।
রাষ্ট্রদূত মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী বাঙালিদের অবদান এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার কথা উল্লেখ করেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ বিশেষ করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষ প্রবাসী বাংলাদেশিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল নিউইয়র্কের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা তার বক্তব্যে বিজয়ের এইদিনে দেশের উন্নয়নে প্রায় এক কোটি প্রবাসী বাংলাদেশীর অবদানের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, তারা শুধু রেমিটেন্সই প্রেরণ করছেন না, তারা বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের দূত হিসেবে প্রবাসে সগৌরবে বাংলাদেশকে তুলে ধরছেন। বিজয় দিবস উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের পেটারসন শহরের মেয়র প্রদত্ত ঘোষণাপত্র তিনি পড়ে শোনান।