জাতিসংঘে জেনোসাইড কনভেনশনের ৭১তম বার্ষিকী উদ্যাপন

নিউইয়র্ক, ১০ ডিসেম্বর : গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ‘গণহত্যা প্রতিরোধ ও এই অপরাধের শাস্তি প্রদান, গণহত্যার শিকার মানুষদের মর্যাদা ও স্মরণ এবং এই অপরাধ প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক দিবস’ বিষয়ক কনভেনশনের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়। অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণীর অংশবিশেষ উদ্বৃত করে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, ‘পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে চলমান বা ভবিষ্য যে কোনো জেনোসাইড এর প্রতিরোধ ও মোকাবিলার ক্ষেত্রে সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রতি আমাদের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে আজ তা নবায়নের দিন’।
বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত গণহত্যার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, এটি ছিল মানব ইতিহাসের ভয়াবহতম গণহত্যার একটি। কিন্তু পরিতাপের বিষয় গণহত্যার আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে এটি সঠিকভাবে উপস্থাপিত হয়নি এবং জাতিসংঘেও এখন পর্যন্ত স্বীকৃত হয়নি। তিনি আরো বলেন, জাতি হিসেবে আমরা ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ পালন করি। এই দিনে ১৯৭১ সালেবাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা গণহত্যার শিকার হয়েছিলেন তাঁদের মরণসহ গণহত্যার শিকার বিশ্বের সকল মানুষদের আমরা স্মরণ করি। ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘটিত ভয়াবহ নৃশংসতার কথা এসময় রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন।
এদিকে একই দিন জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ‘সকলের দ্বারা এবং সকলের জন্য’ শিরোনামে জাতিসংঘের কেন্দ্রীয় জরুরি সাড়াদান তহবিল (সিইআরএফ) আয়োজিত এক প্লেজিং ইভেন্টে যোগ দেন রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। অনুষ্ঠানে তিনি জানান, বাংলাদেশ সিইআরএফ এর অন্যতম সহায়তা গ্রহণকারী এবং পাশাপাশি একটি দাতাদেশ। কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পসমূহে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা তহবিল প্রদানের জন্য সিইআরএফ-কে ধন্যবাদ জানান তিনি।