প্রধান মেনু

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দশ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজন বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং

ঢাকা, ২৭ ফাল্গুন (১২ মার্চ) : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আগামী ১৭ই মার্চ ২৬শে মার্চ ২০২১ পর্যন্ত দশ দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হচ্ছে। বিদ্যমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে আয়োজিত এসব অনুষ্ঠানে দেশিবিদেশি অতিথিবৃন্দ অংশগ্রহণ করবেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিং-এ সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী জানান১৭ই মার্চ ২০২১ তারিখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী এবং ২৬শে মার্চ ২০২১ তারিখে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে দশ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা আয়োজনের সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানমালায় প্রতিদিন পৃথক থিমভিত্তিক আলোচনা অনুষ্ঠানসাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানঅডিওভিজুয়াল এবং অন্যান্য বিশেষ পরিবেশনার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। দশ দিনের অনুষ্ঠানমালার থিমগুলো হলো- ১৭ই মার্চ ভেঙেছ দুয়ার এসেছো জ্যোতির্ময়’, ১৮ই মার্চ  মহাকালের তর্জনী’, ১৯শে মার্চ যতকাল রবে পদ্মা যমুনা’, ২০শে মার্চ তারুণ্যের আলোকশিখা’, ২১শে মার্চ ধ্বংসস্তূপে জীবনের গান’, ২২শে মার্চ বাংলার মাটি আমার মাটি’, ২৩শে মার্চ নারীমুক্তিসাম্য ও স্বাধীনতা’, ২৪শে মার্চ শান্তি-মুক্তি ও মানবতার অগ্রদূত’, ২৫শে মার্চ গণহত্যার কালরাত্রি ও আলোকের অভিযাত্রা’ এবং ২৬শে মার্চ  স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর ও অগ্রগতির সুবর্ণরেখা’।

দশ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় ১৭ই মার্চ২২শে মার্চ এবং ২৬শে মার্চ ২০২১ তারিখের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এবং ১৭ই মার্চ১৯শে মার্চ২২শে মার্চ২৪শে মার্চ এবং ২৬শে মার্চ ২০২১ তারিখের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন। এই পাঁচ দিনের অনুষ্ঠানে বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান এবং সরকার প্রধানগণ সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

আগামী ১৭ই মার্চ ২০২১ তারিখের অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ্১৯শে মার্চ ২০২১ তারিখের অনুষ্ঠানে শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে২২শে মার্চ ২০২১ তারিখের অনুষ্ঠানে নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী২৪শে মার্চ ২০২১ তারিখের অনুষ্ঠানে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং এবং ২৬শে মার্চ ২০২১ তারিখের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উপস্থিত থাকবেন।

এই পাঁচ দিনের অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে সীমিত আকারে ৫০০ জন আমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াএই পাঁচ দিনের অনুষ্ঠানসহ অন্য পাঁচ দিনের অনুষ্ঠানমালায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র প্রধানসরকার প্রধানআন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের ধারণকৃত বক্তব্য প্রদর্শন করা হবে। প্রত্যেক দিনের অনুষ্ঠান টেলিভিশন চ্যানেলঅনলাইন মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

আগামী ১৭ই মার্চ ২০২১ তারিখের অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করবেন চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো১৮ই মার্চ ২০২১ তারিখের অনুষ্ঠানে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন২০শে মার্চ ২০২১ তারিখের অনুষ্ঠানে ওআইসির সেক্রেটারি জেনারেল ড. ইউসেফ আহমেদ আল-ওথাইমিন২২শে মার্চ ২০২১ তারিখের অনুষ্ঠানে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইউশিহিদে সুগা২৪শে মার্চ ২০২১ তারিখের অনুষ্ঠানে পোপ ফ্রান্সিস২৫শে মার্চ ২০২১ তারিখের অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী চুং স্যু-কুয়েন এবং বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু জাপানের তাকাশি হাওয়াকাওয়ার পুত্র ওসামু হাওয়াকাওয়া।

অনুষ্ঠানের সময় সম্পর্কে ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন১৭ই মার্চ১৯শে মার্চ২২শে মার্চ২৪শে মার্চ এবং ২৬শে মার্চ ২০২১ তারিখের অনুষ্ঠান বিকাল ৪টা ৩০মিনিটে শুরু হবে এবং রাত ৮টায় শেষ হবে। অন্যান্য দিনের অনুষ্ঠান বিকাল ৫টা ১৬ মিনিটে শুরু হবে এবং রাত ৮টায় শেষ হবে। প্রতিদিনের অনুষ্ঠানে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৬টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ৩০ মিনিটের বিরতি থাকবে।

প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামশিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনিসাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরপররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম,  পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীমমুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষমাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ মাহবুব হোসেনতথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়াপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকারজাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এবং জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির কার্যালয়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।