প্রধান মেনু

জমি লিখে না দেওয়ায় প্রাণ নাশের হুমকী

রাজবাড়ীতে জমি লিখে না দেওয়ায় আব্দুল আলীম নামের এক ব্যক্তিকে প্রাণ নাশের হুমকী দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, শিবালয় উপজেলার জাফরগঞ্জ গ্রামের আব্দুল আলিম প্রায় ১৫ বছর আগে রাজবাড়ী জেলার গোপিনাথদিয়া গ্রামে ১২শতাংশ জমি ক্রয় করে কাগজের ব্যবসা শুরু করেন। তার ব্যবসা চলা অবস্থায় প্রায় ২বছর আগে ওই এলাকার হুমায়ন কবির নামের এক ব্যক্তির কাছে ৮শতাংশ জমি বিক্রি ২৫লাখ টাকা দাম ধরে চুক্তি পত্র করা হয়। কিন্ত চুক্তি পত্রে লেখা হয় ওই জমির দাম ৩৫ লাখ টাকা। কিন্ত সুচতুর হুমায়ন আলিমকে মাত্র ১০হাজার টাকা নগদ ও ৪০হাজার টাকার একটি ইসমালী ব্যাংকের চেক দেয়। সে কৌশলে চুক্তি পত্রে আলিমকে কিছু টাকা দিয়ে ৩৪ লাখ টাকা নগদ ও এক লাখ টাকা ২বছরের মধ্যে পরিশোধ করার কথা বলে স্বাক্ষর নেয়। ওই সাথে ২বছরের জন্য মৌখিক চুক্তিতে মিল ঘরও ভাড়া নেয় ৩০হাজার টাকা করে মাসে দেওয়ার কথা বলে। কিন্ত চুক্তি পত্রে ৩৪ লাখ টাকা নগদ দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হলেও আলিমকে তা দেওয়া হয়নি। গতকাল রোববার পর্যন্ত ওই ৮শতাংশ জমি ও মিল ঘরের চুক্তি পত্রের মেয়াদ ছিল। কিন্ত ওই জমির টাকা ও মিল ঘর ভাড়ার টাকা না দিয়ে হুমায়ন কবির প্রভাবশালী লোকজন নিয়ে জোর পুর্ব্বক দখল করে রেখেছে বলে জানায় আব্দুল আলিম । চুক্তি পত্রের মেয়াদ আজ মঙ্গলবার শেষ হয়ে গেলেও হুমায়ন কবির প্রভাব খাটিয়ে মিল ঘরে ব্যবসা চালিয়ে আসছেন । কিন্ত সে আলিমকে মিল ছেড়ে না দিয়ে উল্টো জমি ও মিল তাকে লিখে দেওয়ার জন্য প্রান নাশের হুমকী দিচ্ছে এবং তার লোকজনকে মিল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি মিলের বিদ্যুত বিল বকেয়ার নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছে আব্দুল আলিম মিয়ার নামে। সে এখন প্রাণ ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। আব্দুল আলিম জানান, এ ব্যাপারে রাজবাড়ী থানায় অভিযোগ না নেওয়ায় আদালতে মামলা করা হয়েছে। রাজবাড়ী থানার এসআই বিল্লাল জানান, এ ঘটনাটি উভয় পক্ষের মধ্যে মিমাংশা হয়েছে শুনেছি।

(রুহুল আমিন, মানিকগঞ্জ)