চিলমারী-হরিপুর তিস্তা সেতু প্রকল্পে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ

চিলমারী-হরিপুর তিস্তা সেতু প্রকল্পের চিলমারী অংশের জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ। শরিফের হাট এম ইউ উচ্চ বিদ্যালয়ে রবিবার বিকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার(অতিঃ) মুহঃ রাশেদুল হক প্রধানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন প্রথম পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্থ ৫৭ জনের মাঝে ১ কোটি ৬৩ লাখ ৭ হাজার টাকার চেক বিতরণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ আব্দুল আজিজ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস, এম মেহেদী হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জিলুফা সুলতানা, রমনা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজগর আলী সরকার। উল্লেখ্য চিলমারী অংশে ২০.৪৯ একর জমির জন্য ২০ কোটি ৫৩ লক্ষ্য টাকা ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে বিতরন করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, ১ দশমিক ৪ শ ৯০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুতে পিলার থাকবে ৩০টি। এর মধ্যে ২৮টি পিলার থাকবে নদীর ভেতরের অংশে। ২টি পিলার থাকবে দুই প্রান্তে সংযোগ সেতুতে। প্রকল্পের ৭শ ৩০ কোটি ৮৫ লাখ (সংশোধিত বরাদ্দ) টাকার মধ্যে ২শ ৭৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা মূল সেতু নির্মাণে ব্যয় হবে। অন্যদিকে সড়ক নির্মাণে ব্যয় হবে ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকা। আর নদী শাসনে ৮ কোটি ৫৫ লাখ এবং জমি অধিগ্রহণে ৬ কোটি টাকা ব্যয় হবে। সেতুর উভয় পাশে নদী শাসন হবে ৩ দশমিক ১৫ কিলোমিটার করে। অ্যাপ্রোচ রোড হবে ৫৭ দশমিক ৩ কি.মি.। এর মধ্যে চিলমারী মাটিকাটা মোড় থেকে সেতু পর্যন্ত ৭.৩ কিলোমিটার এবং গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরের ধাপের হাট থেকে হরিপুর সেতু পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার। চিলমারী অংশে একসেস রোড সেতু থেকে কাশিমবাজার পর্যন্ত ৫.৩ কি.মি. এবং গাইবান্ধার ধাপের হাট থেকে হরিপুর পর্যন্ত ২০ কি.মি.। অ্যাপ্রোচ রোড নির্মাণে জমিঅধিগ্রহণ করা হয়েছে ৯০ দশমিক ৮৪ হেক্টর। এর মধ্যে চিলমারীতে ২২ দশমিক ৫ হেক্টর এবং গাইবান্ধার ৬৮ দশমিক ৩৪ হেক্টর জমি।