চাল আমদানির জন্য সরকারের এক ডলারও ব্যয় করতে হবে না—-খাদ্যমন্ত্রী

কিশোরগঞ্জ, ৬ আষাঢ় (২০ জুন): দেশে ধানের উৎপাদন বেড়েছে। চাল আমদানির জন্য সরকারের এক ডলারও ব্যয় করতে হবে না। দেশে খাদ্যের অভাব নেই। বর্তমানে দেশে সরকারি খাদ্য মজুতের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ বলে উল্লেখ করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
আজ কিশোরগঞ্জ সার্কিট হাউসে চলমান বোরো সংগ্রহ ২০২৩ উপলক্ষ্যে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, সরকার কার্ডের মাধ্যমে ওএমএস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জুলাই-আগস্টের মধ্যে কার্ডের মাধ্যমে ওএমএস এর চাল বিতরণ শুরু করবে খাদ্য অধিদপ্তর। জুলাই মাসের শুরু থেকে টিসিবির মাধ্যমেও ৫ কেজি করে চাল বিতরণ শুরু হতে যাচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, সুখী সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা গড়তে আমাদের অপচয় কমাতে হবে। চাল চকচকে করতে গিয়ে অপচয় হয়। আবার পুষ্টিগুণও নষ্ট হয়।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, হাওর অঞ্চলের কৃষক সচেতন হলে ধানের নায্যমূল্য নিতে পারে। মৌসুমের শুরুতেই তারা জমিতে ধান কেটে সেখানেই মাড়াই করে বিক্রি করে দেন, ঘরে নিতে চান না। এই সুযোগে ধানের দাম কমিয়ে ব্যবসায়ীরা সুযোগ নেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সাহায্যে কৃষকের ধানের ময়েশ্চার চেক করে খাদ্য গুদামে আনলে কৃষকের সুবিধা হবে। কর্মকর্তারা ধান ভেজা বলে ফেরত পাঠাতে পারবে না। গুদামে নিয়ে ধান আবার ফেরত নিতে হলে কৃষক সরকারি গুদামে দান দিতে আগ্রহ হারায়। এসময় মন্ত্রী ধান দিতে এসে কোনো কৃষক যেন কষ্ট না পায় সেটা নিশ্চিত করতে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষিতে আমাদের অগ্রগতি আশাব্যঞ্জক। কৃষক বেশি বেশি ধান উৎপাদন করে আমাদের স্বস্তিতে রেখেছে। আমাদের খাদ্য সংকট নেই।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসন ও খাদ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাণ উপস্থিত ছিলেন।