চাটখিল সাহাপুর ইউপি সদস্য আনিস’র বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন ও মানববন্ধন

গাজী রুবেল, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ নোয়াখালী চাটখিল উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মমিনপুর ও পুরুষোত্তমপুর গ্রামের মেম্বার) আনিসুর রহমান ও তার সহযোগীদের অত্যাচার, নির্যাতন, অবৈধ দখল ও জুলুমের অভিযোগ এনে এবং তার হাত থেকে বাঁচতে, সংবাদিক সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজনসহ এলাকাবাসী।
রোববার সকাল ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে এ সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় একই গ্রামের মৃত ফয়েজ আহাম্মদের ছেলে মোঃ ইয়াসিন লিখিত বক্তব্যে জানায়, তারা আনিস বাহিনীর নির্যাতনে শিকার। সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এবং এই অত্যাচারী জনপ্রতিনিধি ভূমিখেকো আনিস বাহিনীর প্রধান আনিসকে দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানান ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন ।
আরো জানান “আমি এলাকায় কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি, আমাদের সম্পত্তি জবর দখল, হামলা ও হুমকির ঘটনায় চাটখিল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও এ পর্যন্ত আমরা থানা পুলিশের কোন আইনগত সহায়তা পাইনি। অপরদিকে, আমার সৎ চাচা আনিসুর রহমান (৪০), রুহুল আমিন (৫০) উভয়ের পিতা মৃত শরবত আলী, সৎ চাচাতো ভাই নুরুল আমিন (২৮), নুরুল ইসলাম কালু (২৫), উভয় পিতা রুহুল আমিন, রুহুল আমিনের স্ত্রী পেয়ারা বেগম (৪৫) সহ জায়গা সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের জন্য বিভিন্ন জাল দলিল সৃজন করে।
আনিস মেম্বার মূলত একজন সন্ত্রাস, মাস্তান, খুনী, চাঁদাবাজ, ভূমিগ্রাসী, টাকা-পয়সা আত্মসাৎকারী প্রকৃতির লোক। ১৯৯৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আনিস মেম্বার, তার ভাই জামাল হোসেন চৌকিদারসহ সহযোগী আরো ৮জন মিলে সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করিতে গেলে মমিনপুর একই বাড়ির জবায়েদ উল্যা ভূঁইয়া (৬০) প্রতিবাদ করলে, ক্ষিপ্ত হয়ে জবায়েদকে পিটিয়ে হত্যা করে ও তার পরিবারের ৫-৬ জনকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। চাটখিল থানায় মামলা (নং-০৬, ১৪৩,১৪৯,৪৪৭,৩০২,৩২৩, ১১৪ ধারা, জি.আর নং-৬৪৮/১৯৯৬ইং)। এ মামলায় আনিস মেম্বার গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন জেল হাজতে ছিলো। আনিস মেম্বার মানুষকে বিদ্যুতের লাইন ও মিটার দিবে বলে অনেক টাকা আত্মসাৎ করে।
এলাকার বিধবা ভাতা, বয়ষ্ক ভাতা কার্ডে করে দিবে বলে ঘুষ নিয়ে প্রচুর টাকার মালিক হয় এবং কারো কারো বিধবা ভাতা ও বয়ষ্ক ভাতা করে দিয়ে টাকা উত্তোলনের পর পুরো টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ইয়াসিন আরো জানায়, গত ২১ জুন বিভিন্ন ধরণের হুমকি দিলে আমি বাদী হয়ে ২৩ জুন নোয়াখালী পুলিশ সুপার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করি। বর্তমানে আমরা আনিস মেম্বার ও তার বাহিনীর ভয়ে স্বাধীনভাবে বাড়িতে বসবাসসহ পথে-ঘাটে চলাচল করতে পারছিনা। নিরাপত্তহীনভাবে দিনযাপন করছি। আমরা এর আইনগত প্রতিকার চাই।