প্রধান মেনু

চাঁদ সুলতানা পুরস্কার পেল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো

বাংলাদেশ সরকারের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘চাঁদ সুলতানা পুরস্কার ২০১৮’ প্রদান করা হয়েছে। আজ রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আহছানিয়া মিশনের প্রধান কার্যালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ পুরস্কার প্রদান করেন। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক তপন কুমার ঘোষ উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর পক্ষে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা স্মরণ করে বলেন, আমি এই মুহূর্তে আরো একজন মহান মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি; তিনি হলেন খান বাহাদুর আহছানউল্লা (র.)।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা যে মন্ত্রকে ঘিরে আজ রাজনীতি করি, এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা হজরত খান বাহাদুর আহছানউল্লা (র.) সে কথাটি অনেক আগেই বলে গেছেন। হিন্দু-মুসলিম দ্বন্দ নয়। সকল ধর্ম মিলিয়ে শ্রী বৃদ্ধি করে একটি ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রে বসবাস করতে চাই। এই বিষয়টি অনেক আগেই তিনি (আহছানউল্লা) উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার আগে ও পরে নিরক্ষরতামুক্ত দক্ষ জনশক্তি গড়ার কথা বার বার বলেছেন। সে কাজটি আজ ঢাকা আহছানিয়া মিশন করে যাচ্ছে। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোকে পুরস্কৃত করার জন্য তিনি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঢাকা আহছানিয়া মিশনকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, ঝরে পড়া শিশুসহ সকল নিরক্ষর মায়ের নিরক্ষরতা দূরীকরণ আমাদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য অর্জনে আপনারা যারা এক সাথে কাজ করছেন তাদের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা আহছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট কাজী রফিকুল আলম। উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে ঢাকা আহছানিয়া মিশন প্রয়াত উপকরণ উন্নয়নবিদ ও সাক্ষরতা কুশলী চাঁদ সুলতানার স্মরণে ২০০১ সালে ‘চাঁদ সুলতানা পুরস্কার’ প্রবর্তন করে। এ পর্যন্ত বিবিধ ক্ষেত্রে অনবদ্য অবদানের জন্য ১০ জন ব্যক্তি ও ৭টি প্রতিষ্ঠানকে চাঁদ সুলতানা পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।