ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেনি, হত্যা করেছে এ দেশের মানুষের ভাগ্যকে — টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

ঢাকা, ৩ পৌষ (১৮ ডিসেম্বর): ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেনি, হত্যা করেছে এ দেশের মানুষের ভাগ্যকে। ২০২১ সালে বাংলাদেশ যে জায়গায় পৌঁছেছে, তিনি বেঁচে থাকলে ২০০০ সালেই সেখানে পৌঁছে যেত, বলেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলা একাডেমির শাহ আব্দুল করিম মিলনায়তনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রসৃষ্টি বিপ্লব: স্বাধীনতার ৫০ বছরে অগ্রগতি ও প্রতিবন্ধকতা শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: মশিউর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
বঙ্গবন্ধু মা, মাটি ও মাতৃভাষা এই তিনের সাথে আপস করেননি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দীর্ঘ ২১ বছর বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ধারায় ফিরিয়ে নেওয়া হয় কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হয়নি। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরসূরি জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর ২১ বছরের জঞ্জাল অপসারণ করে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার সংগ্রাম শুরু করেন।
ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রনায়ক মোস্তাফা জব্বার ১৯৬৯ সালে শুরু হওয়া তৃতীয় শিল্প বিপ্লবে শরীক করতে বঙ্গবন্ধু গৃহীত বিভন্ন যুগান্তকারী কর্মসূচি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়েও প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছরের পশ্চাৎপদতা অতিক্রম করার উদ্যোগ বঙ্গবন্ধু শুরু করেন। এর অংশ হিসেবে বেতবুনিয়ায় ভূউপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, আইটিইউ, ইউপিইউ সদস্যপদ অর্জন, টিএন্ডটি বোর্ড গঠন, প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণ এবং কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্বারোপসহ বিভিন্ন অর্জন গ্রহণের মাধ্যমে ডিজিটাল বিপ্লবের বীজ বপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে তার ১৮ বছরের বঙ্গবন্ধুর রোপণ করা বীজটিকে বিরাট মহিরূহে রূপান্তর করেন। ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার উদ্ভাবক জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, অতীতের তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করে প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছর পিছিয়ে থাকা কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির বাংলাদেশকে তৃতীয় শিল্প বিপ্লব বা ইন্টারনেট শিল্প বিপ্লবে শরীক করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেন্। তিনি মোবাইল ও কম্পিউটার প্রযুক্তি জনগণের জন্য সহজলভ্য করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় মোবাইলের ২জি প্রযুক্তির পর ২০১৩ সালে থ্রি-জি , ২০১৮ সালে ফোর-জি এবং ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর ৫-জি যুগে বাংলাদেশের প্রবেশ ভিশনারি রাজনীতিক শেখ হাসিনার হাত ধরেই হয়েছে। তিনি বলেন, ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীতে প্রথম ফাইভ-জি চালু হওয়ার মাত্র দু‘বছরের ব্যবধানে ফাইভ-জি প্রযুক্তি যুগে বাংলাদেশের প্রবেশ ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বিশ্বে বাংলাদেশের সক্ষমতারই প্রকাশ বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
পরে মন্ত্রী বাংলাদেশ: ‘সংগ্রাম, সিদ্ধি, মুক্তি’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।