প্রধান মেনু

ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তাঁর আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি — খাদ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ৩১ শ্রাবণ (১৫ আগস্ট) : ঘাতকচক্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করলেও তাঁর স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

মন্ত্রী আজ ঢাকা থেকে নওগাঁর পোরশা, সাপাহার ও নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পিছনে জাতীয় বেইমান খন্দকার মোশতাক ও মাস্টারমাইন্ড হিসেবে জড়িত ছিলেন জিয়াউর রহমান। শুধু তাই নয় যারা এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল ক্ষমতায় আসার পর তাদের গাড়িতেই রক্তে রঞ্জিত লাল-সবুজ পতাকা তুলে দেয়া হয়েছিলো।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ৯ মাসে যে সংবিধান দিয়েছিলেন ক্ষমতায় আসার পর সেই সংবিধানকেও টেনে ছিঁড়ে ফেলে ইনডেমিনিটি আদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারকে বাধাগ্রস্ত করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশের কোথাও বঙ্গবন্ধুর নাম পর্যন্ত নিতে দেয়া হয় নাই। নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ভুল বোঝানো হয়েছে। আজ তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর এই বিচার কার্যক্রম শুরু করেন। বিদেশে যারা পালিয়ে আছে তাদেরকেও দেশে এনে বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল একটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, যেখানে ধর্মীয় উগ্রতা থাকবে না, ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য থাকবে না। বঙ্গবন্ধুর দর্শন ছিল দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো, ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান দূর করা, ধর্মীয় ও অন্যান্য বৈষম্য দূর করে সকলকে একটি প্লাটফর্মে এনে বাঙালি প্লাটফর্ম প্রতিষ্ঠা করা।

মন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তানকে হারিয়েছি। আর আমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান কারণ বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পেয়েছি, তিনি এ জাতির দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন। পিতার আদর্শ বুকে ধারণ করে তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে সকল বাধা উপেক্ষা করে দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ভবিষ্যতে এদেশে আর কোনো ষড়যন্ত্র যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেই জন্য নেতাকর্মীদের  সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।