গ্রিসে বাংলাদেশ দূতাবাসে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদ্যাপন

এথেন্স (গ্রিস), ৯ মার্চ : গ্রিস প্রবাসী বাংলাদেশি নারীদের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস, এথেন্স আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে দূতাবাস প্রাঙ্গণে বিস্তারিত কর্মসূচির আয়োজন করে। বিপুল সংখ্যক নারী ও কন্যা শিশু এ অনুষ্ঠানে যোগদান করে। বাংলাদেশ থেকে বহু দূরে পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধববিহীন ব্যস্ত জীবনে এ আয়োজন ছিল অত্যন্ত আনন্দময়। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী নারীদের বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস ছিলো লক্ষ্যণীয়।
‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আলোচনায় বক্তারা তাঁদের স্বপ্নের কথা, অভিজ্ঞতার কথা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা উপস্থিত সকলকে অবহিত করেন। সংসার ও সন্তান-সন্ততি সঠিকভাবে পরিচর্যা করার পরও গ্রিসে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী কর্মজীবী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন। এছাড়া গ্রিস প্রবাসী নারীগণ সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছেন। বাংলাদেশের জনগণের অর্ধেক অংশ হিসেবে দেশের উন্নয়নে সুদূর গ্রিসে থেকেও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছেন। পুরুষের পাশাপাশি তাঁরা দেশে বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রেরণ করছেন। তাঁরা নারীদের সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে এবং তাঁদের সমস্যা সমাধানে একযোগে কাজ করছেন। বাংলাদেশ দূতাবাস সর্বাত্মকভাবে নারীদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত আসুদ আহ্মদ বলেন, নারীরা আজ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। বাংলাদেশ নারী ক্ষমতায়নের রোল মডেল। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং তাঁর নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের দেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে উন্নত দেশের কাতারে দাঁড়াবে। রাষ্ট্রদূত গ্রিসের নারীদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান এবং তাদের সর্বাত্মকভাবে যেকোনো প্রয়োজনে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূতের সহধর্মিণী ও অনুষ্ঠানের সভাপতি মিসেস রেবেকা সুলতানা নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে আয়োজনটি স্মরণীয় একটি দিনে পরিণত হয়েছে বলে তাঁদেরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব রাবেয়া বেগম। এ সময় অন্যান্যের সাথে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের মিনিস্টার, প্রথম সচিব (শ্রম), দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দসহ বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ।