গ্রিসে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব- এঁর ৯১তম জন্মবার্ষিকী পালন

এথেন্স (গ্রিস), ৮ আগস্ট : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব- এঁর ৯১তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় গ্রিসে পালিত হলো। এই উপলক্ষ্যে গ্রিসের এথেন্সস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে গ্রিসে বসবাসকারী বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিস, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়ী এবং আঞ্চলিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরান থেকে তিলাওয়াত এবং পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করা হয়। এরপর, দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। বাণী পাঠের পর বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব- এঁর মহতী জীবনীর উপর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে গ্রিসের স্থানীয় আইন মেনে দূতাবাস প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত আলোচনায় বক্তারা বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব- এঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তাঁরা মহীয়সী নারী বঙ্গমাতার কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানের সভাপতি গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহ্মেদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের অসামান্য ত্যাগের জীবন জাতির পিতার জন্য ছিলো এক অনন্য প্রেরণা। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা পরবর্তী দেশ পুনর্গঠনের কাজে বঙ্গমাতা দৃঢ়তা, সাহসিকতা ও বিচক্ষণতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখেছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে বঙ্গমাতার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা, বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি থেকে বাংলাদেশের মানুষ, প্রবাসী বাংলাদেশিসহ বিশ্বমানবতার আশু মুক্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।