গ্রিসে জাতির পিতার জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবস উদ্যাপন

এথেন্স (গ্রিস) ১৮ মার্চ : বাংলাদেশ দূতাবাস, এথেন্স যথাযথ মর্যাদা ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০২১ পালন করেছে। জাতির পিতার ১০১তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে দূতাবাস বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করে এবং দূতাবাস চত্বর আলোকচিত্র, বর্ণাঢ্য ব্যানার, পোস্টার ও বেলুন দিয়ে সজ্জিত করা হয়।
১৭ই মার্চ দূতাবাস প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদ্যাপন শুরু হয়। দিবসের কর্মসূচির দ্বিতীয় অংশ পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠের মাধ্যমে শুরু হয়। এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও বাংলাদেশের শান্তি ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রদূত আসুদ আহ্মদ এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর দূতাবাস পরিবারের শিশু-কিশোরদের নিয়ে রাষ্ট্রদূত এবং তাঁর সহধর্মিণী বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসের কেক কাটেন। এরপর, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রেরিত বাণী পাঠ করা হয়। এছাড়া, জাতির পিতার কর্মময় জীবন সম্পর্কে বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মহতী জীবন ও কর্মের ওপর বিশেষ আলোচনাপর্বে রাষ্ট্রদূত আসুদ আহ্মদ তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক নেতৃত্বের কথা স্মরণ করেন। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দৃপ্ত পদক্ষেপে তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান। প্রবাসে বেড়ে ওঠা শিশু-কিশোরদের দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করানো এবং জাতির পিতার আদর্শ তাদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার ওপরও রাষ্ট্রদূত গুরুত্বারোপ করেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে গ্রিসে বসবাসরত বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের নিয়ে বৃহৎ পরিসরে দিবসটি আয়োজনে দূতাবাসের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি থাকলেও কোভিড- ১৯ মহামারি নতুন করে ছড়িয়ে পড়ায় এবং গ্রিক সরকারের আরোপিত হার্ড লকডাউন ব্যবস্থার কারণে শেষ পর্যন্ত দিবসের কার্যক্রম সীমিত পরিসরে এবং দূতাবাস পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে ঘরোয়াভাবে আয়োজন করা হয়।