গ্রাজুয়েশনের পর ১২ বছর বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখার প্রস্তাবে সকলের সমর্থন চাইলেন বাণিজ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ২ আশ্বিন (১৭ সেপ্টেম্বর) : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, এলডিসি গ্রাজুয়েশন ও গ্রাজুয়েশন পরবর্তী সহজ উত্তরণের জন্য এলডিসি গ্রুপের পক্ষে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থায় ট্রেড প্রেফারেন্স এর জন্য ১২ বছর সময় বর্ধিতকরণ এর যে প্রস্তাব করা হয়েছে তা সকল পক্ষকে সমর্থন করতে হবে।
গতকাল জেনেভায় আঙ্কটাড (UNCTAD) সদর দপ্তর আয়োজিত স্বল্পোন্নত দেশসমূহের বাণিজ্যমন্ত্রীগণের ভার্চুয়াল সন্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষে বক্তৃতাকালে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা, ট্রিপস ওয়েভার কাজে লাগিয়ে উন্নয়ন অর্জন করেছে। ডব্লিউটিও “হংকং মিনিস্টেরিয়াল ডিক্লারেশন” অনুযায়ী শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা এবং “নাইরোবি মিনিস্টেরিয়াল ডিক্লারেশন” অনুযায়ী এলডিসির জন্য প্রিফারেন্সিয়াল রুলস অব অরিজিন উন্নত দেশসমূহকে প্রদান করতে হবে। এলডিসিভুক্ত দেশসমূহের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি ও কাঠামোগত উন্নয়নে আঙ্কটাডকে কার্যকর সহযোগিতা প্রদান করতে হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, এলডিসিভুক্ত দেশসমূহের উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কার্যক্রম আরও জোরদার করা প্রয়োজন। কোভিড-১৯ এর অভিঘাত, ডিজিটাল ডিভাইড, জলবায়ুর বৈরী প্রভাব মোকাবিলার জন্য চলমান ইন্টারন্যাশনাল সাপোর্ট মেজার্স (আইএসএম) সমূহসহ যুগোপযোগী আন্তর্জাতিক সহায়তা দরকার। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী স্বল্পোন্নত দেশসমূহকে টেকনোলজি ট্রান্সফার এবং উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে কাঠামোগত সহায়তা দিতে হবে।
আগামীতে অনুষ্ঠেয় আঙ্কটাড-১৫, এমসি-১২, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অধিবেশন ওএলডিসি-৫ সন্মেলন ও কার্যক্রম সমূহে বিশ্বসম্প্রদায়ের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এলডিসি ও গ্রাজুয়েটিং এলডিসির স্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়সমূহ কার্যকরভাবে উপস্থাপনের জন্য আঙ্কটাডকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, আঙ্কটাড জাতিসংঘের আন্তরাষ্ট্রিক একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়ন বিষয়ে উন্নয়নশীল দেশসমূহকে নীতি ও উন্নয়ন সহযোগিতা দিয়ে থাকে। আগামী ৩ থেকে ৭ অক্টোবর আঙ্কটাড এর ১৫তম অধিবেশন ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে। কোভিড-১৯ পরবর্তী এ অধিবেশন স্বল্পোন্নত দেশসমূহের পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও উন্নয়ন কর্মসূচি প্রণয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আঙ্কটাড এর অধিবেশনে কোভিড প্রেক্ষাপটে স্বল্পোন্নত দেশসমূহের ট্রেড, ফিন্যান্স এবং টেকনোলজি সহযোগিতাসহ আগামী দশ বছরের জন্য অ্যাকশন প্ল্যান (২০২২-৩১) আলোচিত হবে। বর্ণিত প্রেক্ষাপটে উক্ত অধিবেশনের প্রাক-প্রস্তুতি হিসেবে ৪৬টি স্বল্পোন্নত দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীগণের এ সন্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ সন্মেলনের হোস্ট মালাওয়ির বাণিজ্যমন্ত্রী এবং আঙ্কটাডের সেক্রেটারি জেনারেল সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এলডিসি বাণিজ্য মন্ত্রীগণের সন্মেলনে বাংলাদেশের সকল প্রস্তাবসহ একটি মিনিস্টেরিয়াল ডিক্লারেশন ঘোষিত হয়।