প্রধান মেনু

গোদাগাড়ীতে পার্চিং পদ্ধতিতে ক্ষতিকারক পোকা দমন

গোদাগাড়ী (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে কৃষকেরা পার্চিং পদ্ধতিতে রোপা আমন ধানের ক্ষতিকারক পোকা দমন করার চেষ্টা করছেন। যদিও পদ্ধতিটি বেশ পুরাতন, এ এলাকার কৃষকেরা ফসলের ক্ষতিকারক পোঁকা দমনের জন্য কীটনাশক ছাড়ায় পোঁকা মাকড় দমনে অভ্যস্ত। পদ্ধতিটি বেশ পরিবেশ বান্ধব। আজ কৃষকেরা  কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহীর উপপরিচালক শামছুল হকের নির্দেশে উপজেলা কৃষি অফিসার শফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে পার্চিং উৎসব করেছেন।
এ প্রসঙ্গে গোদাগাড়ীর উপজেলা কৃষি অফিসার  শফিকুল ইসলাম বলেন, কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর দীর্ঘদিন ধরে পার্চিং করার পরামর্শ দিয়ে আসছে। পার্চিং করার মাধ্যমে ক্ষেতের ক্ষতিকর পোকা-মাকড় নিয়ন্ত্রণ হয়, ফসলের উৎপাদন খরচ কমে যায়, কীটনাশকের ব্যবহার কমায় ও পরিবেশ দূষণ থেকে রক্ষা পায়। গোদাগাড়ী উপজেলার সকল কৃষককে জমিতে বিঘা প্রতি অন্তত ৫টি কঞ্চি/ডাল পুঁতে আমাদের পার্চিং উৎসবে একাত্মতা প্রকাশ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
পার্চিং উৎসবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গোদাগাড়ীর উপজেলা কৃষি অফিসার শফিকুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মতিয়র রহমান,  এসএপিপিও মোহা. সফিকুল আলম, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ এবং স্থানীয় কৃষকবৃন্দ।
ভাজনপুর এলাকার কৃষক দুলু দেব বলেন,  দীর্ঘ কয়েক বছর থেকে এ পদ্ধতিটি ব্যবহার করে আসচ্ছি বেশ ভাল ফল পাচ্ছি,  জমিতে ৮ বা ১০ কনচি পুঁতে দেয়া হয় সকাল বিকাল সন্ধ্যায় পাখি ডালে বসে এবং ক্ষতিকারক পোকা ধরে খায়। পোকা ধানের ক্ষতি করতে পারে না, কীট নাশক ব্যবহার কম হয়, পরিবেশ বান্ধব। একই মন্তব্য করেন, গোদাগাড়ী পৌরসভার কৃষক আব্দুল্লাহ আল মামুম ও আলাউদ্দিন।