গৃহহীনদের পুনর্বাসন করা হবে – ভূমি মন্ত্রী

ভূমি মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেন, সিটি কর্পোরেশন, ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা, জেলা সদর বা উপজেলা শহরে গৃহহীনদের পুনর্বাসনে কোনো বাধা থাকতে পারে না। তিনি গুচ্ছগ্রাম, আশ্রয়ণ, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প তৈরি করতে কোন আইনি জটিলতা বা প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা পদ্ধতিগতভাবে নিরসন করে গৃহহীনদের পুনর্বাসন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
আজ ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জুন ২০১৭ মাসের বিভাগীয় কমিশনার সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশ দেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এদেশে কোন গৃহহীন থাকবে না। সকল গৃহহীনকে পুনর্বাসন করা হবে। আইনি জটিলতা বা যেকোন সমস্যা থাকলে তা খতিয়ে দেখা জরুরি। ইতোপূর্বে সরকারি কোন পরিপত্র বা আদেশ জারি করা থাকলে তা খতিয়ে জনস্বার্থে গৃহহীনদের পুনর্বাসন করতে হবে। তিনি সরকারের উন্নয়ন কাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহারের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
সভায় কৃষি খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদান বিষয়ে আলোচনায় প্রতিবছর সারাদেশে কমপক্ষে ৫ হাজার একর কৃষি খাস জমি ২১ হাজার ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে বন্দোবস্ত প্রদান নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া গৃহহীন ও ভূমিহীনদের তালিকা মোতাবেক গৃহহীন ও ভূমিহীনদের অগ্রাধিকারভিত্তিতে কৃষি খাসজমি বন্দোবস্ত দান এবং গুচ্ছগ্রামে গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত হয়। সভায় জানানো হয়, জুন ২০১৭ পর্যন্ত রেলওয়ে ও বনবিভাগ থেকে ৮৫৩ কোটি ১৬ লাখ ৮১ হাজার ১৮৭ টাকা ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হয়েছে। যার মধ্যে শুধু বন বিভাগ থেকে ৮২৭ কোটি ১৬ লাখ ৮১ হাজার ১৮৭ টাকা আদায় হয়েছে।
মন্ত্রী ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সারাদেশে ২৬ হাজার গুচ্ছগ্রাম তৈরি করার টার্গেট সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। মন্ত্রী জনবান্ধব ভূমি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সকলকে আন্তরিক থাকার আহ্বান জানান।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে ভূমি সচিব ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ আব্দুল আহাদ, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আকরাম হোসেন, অতিরিক্ত সচিব এ.কে. ফজলুল হক, অতিরিক্ত সচিব তাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, ৮টি বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারগণ উপস্থিত ছিলেন।