শামীমুল ইসলাম শামীম, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি, ০৬মে ২০২০ঃ হতদরিদ্রদের লাগানো গাছ কেটে নিলেন ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার সনাতনপুর পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত এসআই শামিম রেজা।জেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা খন্দকার গিয়াস উদ্দিন মুকুল এ খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন ৫মে জেলা পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামানের নির্দেশে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন হরিনাকুন্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান।হরিণাকুন্ডু উপজেলা বন কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান, উপজেলার দখলপুর যাত্রী ছাউনি থেকে মৃগে বাথান পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেচ খালের উভয় পাড় বনায়ন করা হয়েছে।স্থানীয় দখলপুর সমিতির মাধ্যমে সেখানে ২০০৩ ও ২০০৪ সালের দিকে বিভিন্ন প্রজাতির কয়েক শত গাছ লাগানো হয়।

তিনি আরও জানান, ওই খালের মূল্যবান আকাশমনি গাছ গুলো পূর্ণতা লাভ করেছে। কিন্তু গাছ কাটার অনুমতি আজও পাওয়া যায়নি। তিনি আরো জানান, সোমবার সকালের দিকে একটি মূল্যবান আকাশমনি গাছ কেটে নেন সনাতনপুর পুলিশ ক্যাম্পের আইসি এসআই শামিম রেজা। গ্রামের লোকজন প্রত্যক্ষ করলেও কেও প্রতিবাদ করেননি। খবর পেয়ে মঙ্গলবার ( ৫ মে) সকালের দিকে গাছের সন্ধানে মাঠে বেরিয়ে পড়েন তারা। এলাকার স’ মিল (কাঠ ফাড়াই করা মিল) গুলোতে তল্লাশি শুরু করেন তারা। অবশেষে সদর উপজেলার সাধুহাটি গ্রামের হায়দার আলীর পরিচালনাধীন শাপলা স’ মিল থেকে গাছের ৫টি গুড়ি উদ্ধার করা হয়।

এ কর্মকর্তার দেয়া তথ্য মতে ঝিনাইদহ জেলা বন কর্মকর্তার দপ্তরে জমা দেয়া হয়েছে। এছাড়া উদ্ধার করা কাঠের মূল্য জানাতে পারেনি তিনি। সংশ্লিষ্ট এলাকার দখলপুর বনায়ন সমিতির সভাপতি আলি হাসান জানিয়েছেন ৪০ জন হতদরিদ্র সদস্য বন বিভাগের সাথে চুক্তি করে গাছ গুলো লাগায়। কিছু দিন আগের ঝড়ে কয়েকটি গাছ উপড়ে পড়ে। সোমবার ( ৪ মে) সকাল অনুমান ১১টার দিকে একটি আকাশমনি গাছ কেটে নেন স্থানীয় সনাতনপুর পুলিশ ক্যাম্পের এসআই শামিম রেজা। অভিযোগ করা হয়েছে গাছ কাটার প্রতিবাদ করায় নানা ভাবে ভয়ভীতিসহ আরো গাছ কাটার হুমকি দেয়া হয়েছে তাকে।

এর আগেও ক্যাম্পে জ্বালানির কথা বলে আরো ৩ টি গাছ কেটে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সমিতির এ সভাপতি। এসআই শামিম রেজা গাছ কাটার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন ক্যাম্পের জ্বালানি কাঠের জন্য গাছ গুলো কাটা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গাছ গুলো মরা ছিল। কাঠ হিসেবে ফাঁড়ার জন্য স’মিলে রাখা হয়েছিল বলে দাবি তার।