গাংনী; পাটায় ধার

মজনুর রহমান আকাশ, গাংনী (মেহেরপুর): বাজারে পাওয়া যাচ্ছে হরেকে রকম মসলা।টাটা কিংবা বাটা। যত দামী মসলায় হোকপাটায় বাটা মসলার স্বাদই আলাদা। সেই আদিকাল থেকেই পাটায় মসলা পিষে রান্নার প্রচলন। যুগের পরিবর্তন হয়েছে সেই সাথে আধুনিকায়ন হয়েছে রান্নার সরঞ্জামাদির। কিন্তু পরিবর্তন হয়নি গ্রাম বাংলায় পাটায় বাটা মসলার স্বাদের। তাইতো গ্রাম বাংলার গৃহীনিরা পাটায় ধার দিয়ে নিচ্ছেন।
সুযোগ বুঝে পাটা কুটুনীরাও ঘুরে ঘুরে আয় করছেন মোটা অংকের টাকা। পাটা কুটানী কোদাইল কাটি গ্রামের খোদাবক্স জানান, তিনি ২৫ বছর যাবত এই পাটায় ধার দিচ্ছেন। সারা বছরেই অল্প কাজ হয়। কিন্তু কোরবানীর ঈদ এলেই তাদের চাহিদা বেড়ে যায়। একটা পাটায় ধার দিতে নেন মাত্র ৪০ টাকা। দিনে ৩০ থেকে ৩৫ টি পাটায় ধার দেন তিনি। মিরপুর নওদা পাড়ার কলিম উদ্দীন জানান, তিনি পেশায় একজন ক্ষেত মজুর। বছরের কোরবানীর ঈদ এলেই পাটায় ধার দেয়ার কাজ করেন।
গত ১০ দিনে তিনি সাড়ে পাঁচ হাজার টাকার কাজ করেছেন বলে জানান তিনি।কুঞ্জনগরের গৃহবধু আরজিনা বেগম জানান, বাজারে যেসব মসলা পাওয়া যায় তার স্বাদ তেমন একটা পাওয়া যায় না। পাটায় বাটা মসলার স্বাদই আলাদা। অতুলনীয় গন্ধ।যান্ত্রিক শহরের লোকজন সময় বাঁচাতে প্যাকেট মসলা দিয়ে রান্না করেন। গ্রাম বাংলায় এর প্রভাব পড়লেও সিংহভাগ গৃহবধুরা পাটায় বাটা মসলা দিয়ে রান্না পছন্দ করেন।