প্রধান মেনু

গাংনী; একেকটি গরু একেকটি পরিবারের বেঁচে থাকার স্বপ্ন

মজনুর রহমান আকাশ, গাংনী: নানা রঙের স্বপ্নের জাল বুনছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গরু পালনকারী ও খামারীরা। পালিত গরুগুলো বিক্রি করতে কষ্ট হলেও বাস্তবতার নিরিখে বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের। আর এই গরু পালন করেই সফলতার মুখ দেখছেন তারা । প্রতি বছরই কোরবানীর পশু হাটে নায্য মূল্য নিয়ে আতংক থাকে খামারী ও গরু পালনকারী চাষীদের মনে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।

ভারতীয় পশু সিমান্ত পেরিয়ে না আসতে পারে সেদিকে সরকারের নজরদারীর দাবী খামারীদের। এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নেপালী, অস্টেলিয়ান, ফিজিয়ান, হরিয়ানসহ নানা জাতের গরু মোটাতাজা করে বিক্রি করছেন গাংনীর গরু পালনকারী ও খামারিরা। দরিদ্র কৃষকের বাড়িতে দুয়েকটি করে গরু পালন হলেও খামারে রয়েছে অনেক। বসতবাড়িতে গরু পালন করা প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে অনেক পরিবারে। সারা বছর গরু পালনের পর এখন এসেছে কাঙ্খিত বিক্রির সময়। কোরবানীর চাহিদা লক্ষ্য করেই শেষ মুর্হূতের পরিচর্যা চলছে। স্বপ্নের গরু বিক্রির টাকায় মিটবে পরিবারের চাহিদা।

বাড়তি অর্থ দিয়ে আবারো নতুন গরু কেনার লক্ষ্য রয়েছে গরু পালনকারী পরিবারগুলোতে। গাংনীর গরুর খামারী এনামুল হক জানান, গ্রাম থেকে শহর গরু পালন হচ্ছে সমানে। গ্রামের একেকটি বাড়ি যেন একেকটি খামার। পরিবার প্রধান নারী-পুরুষ মিলে পরিচর্যা করেন গরুগুলো। পরম যতে নিজের সন্তানের মতই আদর করা হয়। এই গরুগুলো যেন তাদের বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা। পুুষ্টিসম্মৃদ্ধ খাবার ও সঠিক পরিচর্যায় গরুগুলো বেড়ে ওঠে কাঙ্খিত মাত্রায়।

জেলার আর্থ সামাজিক উন্নয়নে বড় ধরনের ভুমিকা পালন করছে গরু পালন। তাই কোরবানির পশু হাটে নায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকারকে আরো কঠোর হওয়ার দাবি খামারীদের। জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা: জাহাঙ্গীর আলম জানালেন, এবারো প্রায় এক লক্ষ কোরবানীর পশু প্রস্তুত। জেলার চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত পশুগুলো যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।