গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিজেই পরিস্কার পরিচ্ছন্নতায় নামলেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিস্কার পরিচ্ছন্নতায় মাঠে নামলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। শনিবার দুপুরে থেকে সকল স্টাফদেরকে নিয়ে হাসপাতাল আঙ্গিণায় ড্রেন ও বাগান পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করেন তিনি। শুধু আঙ্গিণা পরিস্কার নয়, হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ সব কিছুই এমনা পরিস্কার হবে এমন প্রত্যাশা স্থানীয়দের। হাসপাতালের নানান দুর্নীতি ও অব্যস্থাপনার কারণে সাংসদ শুভেচ্ছা ফুল ফেরতে চার দিন পর দেখে গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাহবুবুর রহমান তার হাতে সাদা গ্লাসভ। তিনি ময়লা কুড়াচ্ছেন আর পাশেই হাসপাতালের একজন স্টাফ বালতি ধরে আছেন।
শুধু স্বাস্থ্য কর্মকর্তাই নন অফিস সহকারী লিটনসহ হাসপাতালের কর্মচারীরা অনেকেই ময়লা পরিস্কার কাজ করছেন। স্থানীয়রা জানান, গাংনী হাসপাতালে সব কিছুতেই নেই নেই আর নেই। অপরিস্কার ও ময়লা আবর্জনা দেখে নাখোশ হন এমপি সাহিদুজ্জামান। তিনি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ফুল গ্রহণ না করায় হাসপাতালের সবাই নড়েচড়ে বসেছেন। বাইরে যেভাবে পরিস্কার করেছেন সেইভাবে রোগী সেবা ও দুর্নীতির ক্ষেত্রে একই রকম পরিস্কার হয় তাহলে হাসপাতালে মানুষ ভালো সেবা পাবেন। গাংনী হাসপাতালের সামনের চা বিক্রেতা মোকলেছুর রহমান বলেন, এই হাসপাতালের আঙ্গিনা ও ফ্লোরে সব সময় ময়লা থাকে। হাসপাতালে সুইপারের অভাব নেই।
কিন্তু দেখভাল না হওয়ায় হাসপাতাল মাঝেমাঝে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়। এ উদ্যোগ অবশ্যই ভালো। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, আমি নিজেই হাসপাতাল পরিস্কার করায় সবাই পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে উৎসাহিত হবে। একারণে এ উদ্যোগ। এ প্রসঙ্গে সাংসদ সাহিদুজ্জামান খোকন বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প কর্মকর্তা যা দেখালেন তা অবশ্যই ইতিবাচক। তবে অন্যান্য অব্যস্থাপনা ও দুনীতির বিষয়ে যেসবঅভিযোগ রয়েছে তা দ্রুত সমাধান করতে হবে। হাসপাতালের বিষয়ে আমার অবস্থান জিরো টলারেন্স। কেননা এখানে গরিব দুস্থ মানুষেরা সেবা নেয়।
সরকার প্রদত্ত সেবা শতভাগ নিশ্চিত না করলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। প্রসঙ্গত, গেল ১৫ জানুয়ারী মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের নব নির্বাচিত সংসদ সদস্য সাহিদুজ্জামান খোকন হাসপাতাল পরিদর্শন করে কর্মরতদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন। সেখানে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ হাসপাতালের নানান অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির অভিযোগ করেন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে এক সপ্তাহের মধ্যে অব্যবস্থাপনা দুর করার নির্দেশ দিন সাংসদ। একই সাথে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেয়া শুভেচ্ছা ফুল ফেরত দেন তিনি। এক সপ্তাহের মধ্যে অব্যস্থাপনা দুর হলেই তিনি ফুল গ্রহণ করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন।