মজনুর রহমান আকাশ, গাংনী, মেহেরপুরঃ মেহেরপুরের গাংনীতে মানা হচ্ছে না সামাজিক দুরত্ব। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে সিংহভাগ লোকই ছুটে আসছেন বাজারে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যাপকভাবে করোনা বিস্তার রোধে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ প্রদান ও জনসচেতনতা বাড়াতে প্রচার প্রচারণা চালালেও কেউ মানছে না তাদের পরামর্শ। তবে প্রশাসন বলছে, জনগনকে ঘরে রাখতে তাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমাতে সামাজিক দুরত্ব মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা প্রশাসনসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

শহরে মাইকিং করা ও মাস্ক বিতরণসহ করোনার ঝুকি এড়াতে নানা প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রশাসন। অথচ কেউ ঘরে থাকতে চাচ্ছেন না। বাজার করা কিংবা ডাক্তার দেখানোর অজুহাতে তারা ঘরের বাহির হচ্ছেন। এতে করোনা মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। এদিকে সন্ধ্যা ছয়টা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত ঘরের বাহির না হবার প্রজ্ঞাপন ঘোষণা করা হলেও দেখা গেছে তার উল্টো চিত্র লকডাউনের কোন চিত্র নেই শহরে। একটি সুত্র জানায়, দেশের বাইরে থেকে ফেরত আসা ৪৪১ জনসহ ঢাকা নারায়নগঞ্জ এলাকা থেকে সহস্রাধিক লোক ফিরে আসে এ উপজেলায়। তাদের বাড়ি বাড়ি লাল পতাকা টাঙানো ছাড়াও ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন পুলিশ প্রশাসন।

তবে সে কথা মানছেনা কেউ। প্রথম দুয়েকদিন স্থানীয়দের চাপে ঘরে থাকলেও তারা হর হামেশা বের হচ্ছেন নানা কাজের অজুহাতে। এতে করে স্থানীয়দের সাথে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে করোনার ঝুঁকি বাড়ছে। বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, বিদেশ ফেরত ও দেশের ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা লোকজনের তথ্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে দেয়া হচ্ছে। পুলিশ তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দিলেও কোন কাজ হচ্ছে না। স্থানীয় লোকজন বাড়ির বাইরে আসা বিদেশ ফেরতদেরকে ঘরে থাকতে বললে সৃষ্টি হচ্ছে দ্বন্দ্ব।

এ ক্ষেত্রে তদারকীর অভাব প্রশাসনের। গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জানান, বিভিন্ন স্থান থেকে আগতদের তথ্য পাবার পর সেটি যাচাই করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এবং হবে। ইতোমধ্যে জেলার সিমান্ত সংলগ্ন সবকটি রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং সেখানে পুলিশ প্রহরার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে জনগন সচেতন না হলে কারো কিছু করার নেই। করোনার ঝুকি নিয়ে তারা নানা অজুহাতে চলাচল করছে। পুলিশ সবাইকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছে। গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান বলেন, জন সচেতনতা বাড়াতে প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। অনতি বিলম্বে মানুষ বুঝবে এবং তারা ঘরে থাকবেন।