প্রধান মেনু

গাংনীতে জমে উঠেছে ঈদের কেনা কাটা

মজনুর রহমান আকাশ, (গাংনী) মেহেরপুরঃ মেহেরপুরের গাংনীর বিভিন্ন মার্কেটে জমে উঠেছে ঈদের কেনা কাটা। ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন শাড়ি হাউজ, গার্মেন্টস, কসমেটিক্স এমনকি পাদুকা সম্ভারেও ক্রেতাদের ভিড় দিন দিন বাড়ছে। নতুন নতুন নকশা, চোখ ধাঁধানো রং আর মনকাড়া কারুকাজের শাড়ি, থ্রিপিচসহ বিভিন্ন অনুসঙ্গর আয়োজন নিয়ে সাজানো হয়েছে দোকানগুলো। ভিড় আর ধাক্কাধাক্কি সামলিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সবার হাতেই থাকছে এক বা একাধিক নতুন কাপড়ে ভরা ব্যাগ সেই সাথে মুখে এক চিলতে হাসি। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, দাম হাকা হচ্ছে বেশী।

গাংনীর জেলা পরিষদ মার্কেট, এসএম প্লাজা, আমিরুল মার্কেট, স্মরণীকা প্লাজা, রুপসী বাংলা, বামন্দি বাজারসহ বিভিন্ন স্থানের দোকানগুলোও দেশি শিল্পীদের তৈরি নানা বৈচিত্রের শাড়ির পসরা সাজিয়েছে। পাওয়া যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী রাজশাহী সিল্ক, ঢাকাই জামদানি, মিরপুরের কাতান, বালুচুড়ি, টাঙ্গাইলের সিল্ক, টাঙ্গাইলের কাতান, সুতি, পাবনার কাতান, জুট কটন, জুট কাতান, হাফসিল্ক, ও মনিপুরী শাড়ি। গাংনীর কাজল বস্ত্রালয়ের কাজল জানান, তাদের দোকানে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে শাড়ি।

শাড়িগুলোর মধ্যে রয়েছে কটন, সফট কটন, অ্যান্ডি কটন, সিল্ক, হাফসিল্ক, অ্যান্ডি সিল্ক, জামদানি, কাতান এবং গাদোয়াল। তবে সালোয়ার কামিজ থ্রিপিচও বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি ও খুচরা দুভাবেই শাড়ি বিক্রি হচ্ছে এখানে। ঈদ উপলক্ষে নতুন নতুন শাড়িতে ভরে উঠেছে দোকানগুলো। এসএম মার্কেটের শংক শাড়িঘরের মালিক আশফাকুল ইসলাম বলেন, ঈদবাজার এখন জম জমাট। চাঁদ রাত পর্যন্ত এ অবস্থা চলবে।দোকানগুলোতে নিজস্ব নকশার পাশাপাশি ভারতীয় ক্যাটালগের নানান শাড়িও এবার বিক্রি হচ্ছে।

ভারতীয় টিভি চ্যানেলে প্রচারিত ধারাবাহিক নাটকের অভিনেত্রীদের শাড়ির ধরনও তারা অনুকরণ করছেন, যা সহজেই ক্রেতাদের মন কেড়ে নিতে সক্ষম হবে বলে তারা আশা করছেন। ক্রেতারা বিভিন্ন দোকানে ঘুরে সাধ্যের মধ্যে শাড়ি কিনছেন। দেখা যায়, শাড়ির দামের ভিন্ন চিত্র। শাড়ির ধরন প্রায় একই হলেও দোকানভেদে দাম আলাদা। তবে ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয় পক্ষই জানালেন দরকষাকষির সুযোগ আছে। তাই দোকানিরা প্রথমে চড়াদাম হাঁকলেও হতাশ হচ্ছেন না অনেক ক্রেতা।

শহরের অভিজাত বিপনী বিতান ছাড়াও গরীব ও মধ্যবিত্তদের সম্বল পুরান কাপড়ের মার্কেট ও ফুটপাথের দোকান গুলোতেও ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। গাংনীর চালপট্টির পুরান কাপড়ের হাট, বামন্দি পশু হাটের পুরান কাপড়ের হাট ও তেতুঁলতলা ফুট পাতে পাওয়া যাচ্ছে নানা ধরণের কাপড় চোপড়। একই ধরণের শাড়ি ও পোশাকের দাম বিপনী বিতান থেকে অনেক কম। তবে অনেকেই জানালেন, দামের যেমন পার্থক্য রয়েছে তেমনি পার্থক্য রয়েছে কাপড়ের গুণগত মানের। সুতরাং সাবধানের সাথে কিনতে হবে জিনিস পত্র।

এদিকে পাদুকা বিক্রেতাদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, দেশী কারিগরদের তৈরী টেকসই জুতার বদলে ক্রেতারা কিনছেন বার্মিজ পাদুকা। একই ভাবে ক্রেতারা শাড়ি ও অন্যান্য অনুসঙ্গের সাথে মিল রেখে কিনছে লিপ স্টিক, কপালের টিপ, চুলের ব্যান্ট, ক্লিপ এমনকি কপালের টিপও । তবে একটি জায়গাতে ভারতীয় টিভি চ্যানেল দখল করতে পারেনি । সেটি হচ্ছে- টুপি, আতর আর তসবির দোকানে। নানা ধরণের টুপি বিক্রি হচ্ছে এখানে।