গণটিকার প্রথম দিনেই ভাঙ্গুড়ায় ব্যাপক সারা; টিকা নিলেন ৯০ বয়সী জমিলা

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি: ২৬ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় গণটিকা কর্মসূচীতে প্রথম ডোজ টিকা নিতে ব্যাপক সাড়া লক্ষ্য করা যায়। কোভিড-১৯ করোনার টিকা যারা এখনো নেয়নি সকাল থেকেই তারা টিকা কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করেন। ২৬ ফেব্রুয়ারির পর আর প্রথম ডোজ দেওয়া হবেনা এমন প্রচারে নারী-পুরুষ বিশেষ করে গ্রামের সাধারণ লোকেরা যাদের কাছে এতদিন টিকা গুরুত্ব পায়নি তারা ছুটে আসেন ঔ সব কেন্দ্রে।
উপজেলার খাঁনমরিচ ইউনিয়নের ময়দানদীঘি (এফ ডাব্লিউ সি) টিকাদান কেন্দ্রে এসে টিকা নেন ৯০ বছর বয়সী জমিলা খাতুন নামের প্রবীণ মহিলা। বয়সের ভারে হাটতে পারেন না। হাটতে না পারলেও তার ইচ্ছে শক্তির কাছে হার মানে বয়স ঠেকাতে পারেনি টিকা নিতে। ভ্যানে করে এসে টিকা গ্রহণ করেন তিনি। ভ্যানে চরে আসা জমিলা নামের ঔ ব্যাক্তিকে পরম মমতায় টিকাদান কেন্দ্রের বাইরে এসে টিকা প্রদান করেন উপজেলা সাস্থ কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স হৈমন্তী ইসলাম হীরা। হৈমন্তী ইসলাম হীরা জানান, এই কেন্দ্রে আজকে টিকা নিতে আসা তিনিই সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খাঁন, উপজেলা স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মোছাঃ হালিমা খানম, পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুল হাসান বিপ্লব, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি প্রভাষক হেলাল উদ্দিন খাঁন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সংবাদকর্মী, ইউপি চেয়ারম্যান ও সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সকাল থেকেই নির্দিষ্ট টিকাদান কেন্দ্রগুলো তদারকি ও পরিদর্শন করেন। উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের অনেক নেতা কর্মী ও সরকারি হাজী জামাল উদ্দিন কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা টিকা প্রদান কর্মসূচী সফল করতে টিকা নিতে আসা মানুষের পাশে থেকে নানাভাবে সহযোগিতা করে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খাঁন দৈনিক বাংলাদেশ পত্রিকাকে বলেন, সরকারি টার্গেট অনুযায়ী গণটিকা কর্মসূচীতে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি। এখন পর্যন্ত ভাঙ্গুড়া উপজেলায় ৭০ভাগের বেশি মানুষকে টিকা প্রদান করা সম্ভব হয়েছে। তবে টিকা গ্রহনকারীদের আগ্রহ ও চাপের কারণে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আরো দু’দিন বাড়ানো হয়েছে বলে তিনি জানান। সেই জন্য আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এ কর্মসূচী।
« প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ (পূর্বের খবর)