খোকসায় মামাকে পিটিয়ে আহত করলেন ভাগ্নে, দু’গ্রুপে সংঘর্ষে আহত ৮

মোঃ আকরাম হোসেন, কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার গোপগ্রাম ইউনিয়নের উত্তর বরইচারা গ্রামে আমন ধান ফ্যানের বাতাসে উরানো ময়লা ভাগ্নের বাড়িতে যাওয়াকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপে ভয়াবহ সংঘর্ষে আহত ৮ রবিবার দিনভর তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি চলে। পরদিন ৯ ডিসেম্বর সোমবার সকাল নয়টার দিকে দু’পক্ষের ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এতে সন্ত্রাসী কায়দায় ভাগ্নে, মৃত ছাকেন খার মেজো ছেলে আলম খা (৩৫) ছোট ভাই রমজান খা (২০) ভাবি শিখা খাতুন (২৫) ও নাজমা খাতুন (৩০) দেশীয় অস্ত্র, স্টিলের লাঠি,ডেগা, ফালা, বাঁশের লাঠি নিয়ে মামা মোজাম্মেলের বাড়ির উপরে গিয়ে পিটিয়ে আহত করেন।
এতে মামা মোজাম্মেল পরামানিক (৬৫)ও তার স্ত্রী রহিমা খাতুন (৫৫) ছেলে মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম (২৮) আলামিন ইসলাম (২০) ও কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী খুশি (২৩) কে কামড়িয়ে মুখের মাংস তুলে নেওয়ার অভিযোগ এসেছে। স্থানীয় জনগণ আহত অবস্থায় তাদেরকে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে দৈনিক সময়ের দিগন্তকে মামা মোজাম্মেল পরামানিক (৬৫) বলেন মাঠ থেকে আমন ধান কেটে এনে ফ্যানের বাতাসে পরিষ্কার করার সময় তার বাড়িতে ধোলা যাওয়াকে কেন্দ্র করে, কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমার বুকের উপর ডাগার চালায় আমি হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে আমার হাতে এখন সাতটি সেলাই। এছাড়া আমার পরিবারের সবাইকে খুন করার উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছিল সন্ত্রাসীরা।
এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী আলম খা ও তার দল বলের কাছে জানতে চাইলে এন এইচ আর সি আরএফ কে এর সত্যতা স্বীকার করেন। আমাদের ভুল হয়ে গেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে খোকসা থানা অফিসার ইনর্চাজ মোঃ মজিবুর রহমান বলেন ঘটনাটি শোনা মাত্রই আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠিয়েছি। দু’গ্রুপের এখনো কেউ অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেনি।
« বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী (পূর্বের খবর)