প্রধান মেনু

খাদ্য সংকট মোকাবিলায় সরকারের সক্ষমতা ও প্রস্তুতি রয়েছে — কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা, ৩০ শ্রাবণ (১৪ আগস্ট) : কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, যে কোনো পরিস্থিতিতে দেশে খাদ্য সংকট মোকাবিলায় সরকারের সক্ষমতা ও প্রস্তুতি রয়েছে। করোনার দুর্যোগ চলছে, সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় আম্পানে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, বন্যার দুর্যোগও
চলছে। তারপরও আশা করা যায়, যে পরিমাণ খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে, বাংলাদেশে খাদ্যের কোনো সমস্যা হবে না।মন্ত্রী আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত সাংবাদিকদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত করোনাকালীন সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর দেশে প্রায় ৭ কোটি মানুষ ছিল আর এখন ১৬ কোটির ওপরে। স্বাধীনতার পর মাথাপিছু জমি ছিল ২৮ শতাংশ, যা কমতে কমতে এখন হয়েছে ১০ শতাংশ। তারপরও বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। এবছর ইন্দোনেশিয়াকে টপকে চাল উৎপাদনে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে। এসব সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে কৃষিবান্ধব এ সরকারের প্রচেষ্ঠায়।অথচ স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল।বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ, অর্থনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী বলেছিল বাংলাদেশ স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসাবে টিকে থাকবে না, আর টিকে থাকলেও সব সময় বিদেশি সাহায্যনির্ভর হয়ে থাকবে। বিদেশিদের সকল অনুমান মিথ্যা প্রমাণ করে প্রধানমন্ত্রী দেখিয়েছেন, বাংলাদেশ কোনো দেশের ওপর সাহায্যনির্ভর দেশ নয়। বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে।

বিদেশি সাহায্য কমতে কমতে এ বছরের বাজেটে মাত্র ২ ভাগে এসে দাঁড়িয়েছে।মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার সাংবাদিক ও মিডিয়াবান্ধব। যে কারণে করোনার এই দুঃসময়েও অসচ্ছল সাংবাদিকদের সহযোগিতায় সরকার এগিয়ে এসেছে, পাশে দাঁড়িয়েছে।সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, এদেশের প্রায় প্রতিটি প্রগতিশীল আন্দোলন-সংগ্রামে আপনারা সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন, সামনের কাতারে ছিলেন’।

তিনি আরো বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এখনও সক্রিয় রয়েছে। তারা ক্রমাগত মিথ্যাচার করছে। ’৭৫ এর আগেও এরা মিথ্যাচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করেছিল।সেজন্য আমি আন্তরিক আহ্বান জানাই, আপনারা সত্য-সঠিক তথ্য তুলে ধরে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখবেন। যারা মিথ্যা, অসত্য তথ্য ও সংবাদ প্রচার করে জাতিকে বিভ্রান্ত করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার থাকবেন।’ ডিইউজের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রেস ইনস্টিটিউটের (পিআইবি) মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল, স্বদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতন প্রমুখ সভায় বক্তৃতা করেন।