কেমিক্যাল পল্লী প্রকল্পে প্লাস্টিক শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্যও জায়গা থাকবে —শিল্পমন্ত্রী

ঢাকা, ১৫ আশ্বিন (৩০ সেপ্টেম্বর) : মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদীখানে বিসিক বাস্তবায়নাধীন কেমিক্যাল পল্লী প্রকল্পে পুরাতন ঢাকার ক্ষুদ্র প্লাস্টিক শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য আলাদা জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
তিনি বলেন, পুরাতন ঢাকা থেকে ঝুঁকিপূর্ণ প্লাস্টিক শিল্প কারখানা স্থানান্তরের জন্য এ সুযোগ দেয়া হবে। একই সাথে সরকার সম্ভাবনাময় প্লাস্টিক শিল্পখাতের বিকাশে সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক এসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ) এর নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির এক প্রতিনিধিদল আজ মন্ত্রীর সাথে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে আসলে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকালে প্লাস্টিক শিল্পখাতের সম্ভাবনা ও সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এ সময় দ্রুত প্লাস্টিক শিল্পনগরী প্রকল্প বাস্তবায়ন, একটি সময়োপযোগী প্যাকেজিং আইন প্রণয়ন, কেমিক্যাল পল্লীতে প্লাস্টিক সেক্টরকে অন্তর্ভুক্তকরণ, প্লাস্টিক শিল্পনীতি প্রণয়ন, প্লাস্টিক শিল্প উদ্যোক্তাদের দ্রুত পেটেন্ট নিবন্ধন প্রদান এবং এ খাতে পরিবেশ অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সমস্যা সমাধানের বিষয় আলোচনায় স্থান পায়। সাক্ষাৎকালে বিপিজিএমইএ নেতারা পুরাতন ঢাকা থেকে প্লাস্টিক শিল্প- কারখানা স্থানান্তরের জন্য দ্রুত প্লাস্টিক শিল্পনগরী স্থাপনের দাবি জানান।
তারা বলেন, এ নগরীর জন্য নির্ধারিত ৫০ একর জায়গা প্লাস্টিক শিল্প-কারখানা স্থানান্তরের জন্য যথেষ্ট নয়। প্লাস্টিককে পেট্রোকেমিক্যাল জাত পদার্থ বিবেচনা করে তারা কেমিক্যাল পল্লীর জন্য নির্ধারিত ৩শ’ ১০ একর জমির মধ্যে ১শ’ একর জমি প্লাস্টিক শিল্প উদ্যোক্তাদের অনুকূলে বরাদ্দের দাবি জানান। তারা প্লাস্টিক পণ্যের মালিকানা সুরক্ষায় দ্রুত পেটেন্ট নিবন্ধন দিতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এ সময় তারা প্লাস্টিক নীতিমালা প্রণয়নের জন্য এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে একটি খসড়া নীতি শিল্পমন্ত্রীর নিকট হস্তান্তর করেন। মন্ত্রী বলেন, দেশীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে প্লাস্টিক শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। এ শিল্পকে রাজধানী থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে সরকার কাজ করছে। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় অগ্রাধিকারভিত্তিতে প্লাস্টিক শিল্পনগরী প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। খুব শিগ্গিরই প্লাস্টিক নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে।
এক্ষেত্রে বিপিজিএমইএ-সহ অংশীজনদের মতামত নেয়া হবে। বিপিজিএমইএ’র নবনির্বাচিত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সিনিয়র সহসভাপতি গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, সহসভাপতি কে এম ইকবাল হোসাইন ও কাজী আনোয়ারুল হক, সাবেক সভাপতি শামীম আহমেদ ও মোঃ ইউসুফ আশরাফ, পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস্ অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।