কৃষি উন্নয়নে যান্ত্রিকীকরণের বিকল্প নেই -কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রযুক্তির সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার কৃষি খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এর মধ্যে কৃষি যন্ত্রপাতি তথা কৃষি যান্ত্রিকীকরণ অন্যতম। দেশের জনসংখ্যার ক্রমবিকাশের সঙ্গে সঙ্গে কৃষি খাতে যেমন চাপ বাড়ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে খাদ্যশস্য উৎপাদন। কৃষি যান্ত্রিকীকরণের ফলে গত ২৫ বছরে দেশের শস্য উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি অর্জন সম্ভব হয়েছে। এছাড়া উৎপাদন খরচ কমাতে প্রণোদনাসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ৩-৪ বছরে মেশিনের সাহায্যে ধান বপন ও কর্তন সম্ভব হবে।
কৃষিমন্ত্রী আজ টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি, ভাইঘর গ্রামে সিনক্রোনাইজড ফার্মিং এর জন্য পরীক্ষামূলকভাবে রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টারের মাধ্যমে বোরো ধানের চারা রোপন কার্যক্রম ২০১৯-২০২০ এর ‘কৃষক সমাবেশ ও মাঠ দিবস’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। পরে মন্ত্রী মেশিনের সাহায্যে ধান রোপন উদ্বোধন করেন।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি শান্তির দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কৃষি উৎপাদন খরচ কমানোর লক্ষ্যে একাধিকবার সারের মুল্য হ্রাস করেছেন। কৃষিষন্ত্র ক্রয়ে অঞ্চল ভেদে ৫০-৭০ শতাংশ পর্যন্ত প্রণোদনা দিচ্ছে বর্তমান সরকার। কৃষিসচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসান এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোঃ শাহজাহান কবীর অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।