প্রধান মেনু

কুপিয়ে হত্যা করেছে শ্রীপুরের শ্রমিকলীগ নেতাকে

ইব্রাহিম মাহমুদ, শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি।। শ্রীপুরের কেওয়া পশ্চিম খন্ড গ্রামে ওমর ফারুক (২৭) নামে শ্রমিকলীগের নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।
বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকে কেওয়া পশ্চিম খন্ড মসজিদ মোড় থেকে তাকে একটি গাড়ীতে তুলে নিয়ে দু’হাত বিচ্ছিন্ন করে কেওয়া পশ্চিম খন্ড সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে গাড়ী থেকে ফেলে যায় অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা।
সংবাদ পেয়ে স্থানীয় লোকজন ও তাঁর স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আল-হেরা হাসপাতাল পরে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করেন। নিহত ওমর ফারুক কেওয়া পশ্চিম খন্ড গ্রামের হাফিজুল ইসলামের ছেলে। সে শ্রীপুর পৌর শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
এ ঘটনায় গাজীপুর পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিহতের লাশ পরিদর্শন করে নিহতের স্বজনদের সান্তনা দেন এবং এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। ঘটনার প্রতিবাদে বেলা ১১টার দিকে শ্রীপুর পৌর শহরে প্রতিবাদ সভা করে শ্রমিকলীগ।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে নিহতের পিতা হাফিজুল ইসলাম জানান, তাঁর ছেলে ওমর ফারুক মাওনা চৌরাস্তার আমিরিকান টোবাকো নামের একটি প্রতিষ্ঠানের বাজারজাতকারী কর্মকর্তা হিসেবে চাকুরী করত। প্রতিদিনের মত সে প্রতিষ্ঠানে গমনের উদ্দেশে সকালের দিকে বাড়ি থেকে বের হয়। অটোরিক্সা যোগে আসার সময়  মসজিদ মোড় এলাকায় ৭-৮ জন অজ্ঞাত যুবক তার গতিরোধ করে এলোপাথারি মারপিট করে একটি গাড়ীতে তুলে নেয়।
পরে কেওয়া পশ্চিম খন্ড সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে গাড়ী থেকে দুহাত বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ফেলে যায়।
তিনি আরো জানান, তাঁর এক স্বজনের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে তারা এসে গুরুতর আহত অবস্থায় ওমর ফারুককে উদ্ধার করে প্রথমে মাওনা চৌরাস্তার আল-হেরা হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে চিকিৎসকরা শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করেন। তবে কি কারনে তার ছেলেকে ঘাতকরা হত্যা করেছে এ বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি তিনি।
অটোরিক্সায় নিহতের সাথে থাকা সহযাত্রী শ্রীপুর মিজানুর রহমান মহিলা কলেজের শিক্ষক মাসউদ জানান, সকালের দিকে তিনি ওমর ফারুকের সাথে মাওনা চৌরাস্তার দিকে আসছিলেন, পথিমধ্যে কয়েকজন যুবক এসে এলোপাথারী মারপিট শুরু করে। এসময় তাকেও মারপিট করা হয়। তিনি প্রানভয়ে পালিয়ে এসে ফারুকের স্বজনদের খবর দেন।  তবে হামলাকারী কাউকে তিনি চিনতে পারেননি।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাসনিয়া আক্তার জানান, হাসপাতালে আনার আগেই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। দু’হাত বিচ্ছিন্ন ছাড়াও তার সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল্লাহ জানান, নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।